আলোর মনি রিপোর্ট: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন শরীফ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে আবু ইউনুস মোঃ শহিদুন্নবী জুয়েল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে নৃসংশভাবে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ছাই করার মামলায় গোলাম মর্তুজা অনিক (২৯) নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে পাটগ্রাম থানা ও ডিবি পুলিশ।
গোলাম মর্তুজা অনিক পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম দুলাল ও মায়ের নাম বিলকিছ বেগমের ছেলে। রবিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে বুড়িমারী বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে অধ্যয়নকালে আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী দুইটি ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলাচল করতেন এবং বুড়িমারীতেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে চলাচল করতেন। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তার
রাজনৈতিক পদবি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মোহন্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ স্কট দিয়ে বিকালে লালমনিরহাট আদালতে অনিককে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের ওসি ওমর ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত অনিকসহ মোট ৫০জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১২জন আসামী আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। গোলাম মর্তুজা অনিক ওইদিন বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ চত্তর
থেকে আবু ইউনুস মোঃ শহীদুন্নবী জুয়েলের ফ্রিডম মোটর সাইকেলটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে নিয়ে আসে।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে আবু ইউনুস মোঃ শহীদুন্নবী জুয়েলকে হত্যা করা হয়।
এরপর লালমনিরহাট-বুড়িমারী জাতীয় মহাসড়কের ওপর তার লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলায় এখন পর্যন্ত ৫০জনকে গ্রেফতার করা হয় ও ১২জন আদালতে আত্মসমর্পন করেন।