শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে বরবটি চাষে এখন ব্যস্ত কৃষকেরা থানার সেবা কার্যক্রম আরও জনমূখী ও প্রযুক্তি নির্ভর করা হবে-লালমনিরহাটে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লালমনিরহাটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লেবুর চাষ! লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর সভাপতি পদে চেয়ার মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নলিনী চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাটে রসালো লিচু এখন লাল রঙে রাঙাচ্ছে! লালমনিরহাটে আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে সরকারি খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ২০২৫ অনুষ্ঠিত রেলওয়ে খাতে উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক স্টেভি অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশী প্রকৌশলী তাসরুজ্জামান বাবু লালমনিরহাটে দিন ব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস উদযাপিত লালমনিরহাটে প্রতিভাবান খেলোয়াড় বাছাই প্রতিযোগিতা ও ফুটবল প্রশিক্ষণ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত
এসিড দগ্ধ হয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে কাতরাচ্ছে পোশাক শ্রমিক রেশমা

এসিড দগ্ধ হয়ে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে কাতরাচ্ছে পোশাক শ্রমিক রেশমা

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় রেশমা আক্তার (১৮) নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিক তরুণী এসিড দগ্ধ হয়ে বর্তমানে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে।

 

রেশমা এর আগে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।

 

পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেহেদী হাসান (১৯) নামের এক বখাটে ২০ মার্চ রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার শাসনগাঁও এলাকায় গার্মেন্টস থেকে ফেরার পথে এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে। তখন রেশমার সাথে তার বান্ধবী স্বপ্না (১৮) এসিড দগ্ধ হন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা দুই তরুণীকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে ভর্তি করেন।

 

এ ঘটানায় পোশাক শ্রমিক মোছাঃ রেশমা আক্তার সাফিয়ার পিঠ হতে নিতম্ব পর্যন্ত ও তার বান্ধবী স্বপ্না আক্তারের ডান হাতের কনুইয়ের চামড়া ঝলসে গেছে।

 

পরে রেশমার বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ২১/০৩/২০২১ইং তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ২২ মার্চ দুপুরের পর অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে আদালাতে সোপর্দ করেছে থানা পুলিশ।

 

অভিযুক্ত মোঃ মেহেদী হাসান (১৯) লালমনিরহাট পৌরসভার শহীদ শাহজাহান কলোনী এলাকার মৃতঃ মাহবুবুর রহমানের ছেলে বলে জানিয়েছে রেশমার বাবা সোলেমান। মেহেদী ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার নাছির উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করত।

 

অভিযোগের বিবরণ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পোশাক শ্রমিক মোছাঃ রেশমা আক্তার সুফিয়ার গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপাজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ১নং ফুলগাছ গ্রামে। আর বখাটে মেহেদী হাসানের বাড়ি তার পাশের গ্রাম শহীদ শাহজাহান কলোনীতে।

 

ফতুল্লায়ও তারা পাশাপাশি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করতেন। এ পরিচয়ে রেশমাকে মেহেদী হাসান প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু রেশমা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী এসিড জাতীয় দাহ্য পদার্থ রেশমার মুখে ছুড়ে মারে। এ সময় রেশমা ঘুরে দাড়ানোয় তার পিঠে দাহ্য পদার্থ লাগে এবং তার বান্ধবী স্বপ্না আক্তার পাশে থাকায় তার হাতের কনুইয়ে লেগে ঝলসে যায়।

 

রেশমার বাবা সোলেমান সাংবাদিকদের বলেন, মেয়ে আর আমি একই গার্মেন্টসে কাজ করি। ঢাকা যাওয়ার পাঁচ মাস হয়। ধারদেনা করে গিয়ে কেবল সংসারটা সচ্ছল হচ্ছিলো। মেয়েটার পিছনে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। আমি আর কি বলবো আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি যেন দেয়া হয়।

 

এদিকে রেশমার উন্নত চিকিৎসা ও আইনি সহায়তায় বিভিন্ন এনজিও, সামাজিক সংগঠনসহ ব্যক্তি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে সুশিল সমাজ।

 

ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সোহাগ চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে যার তদন্তভার আমার উপরে দেয়া হয়েছে আমি বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখছি। আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করে ইতিমধ্যেই জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

তবে কী ধরনের দাহ্যপদার্থ রেশমার দেহে ছুড়ে মারা হয়েছে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলেও জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone