আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: তিস্তা নদীর বালু চরে মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, পেয়াজ, আদা, হলুদ, রসুন, কাউন, ভূট্টা, চীনা বাদাম, সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন ধরনের উচ্চ মূল্যের সবজির আবাদ করা হচ্ছে। তিস্তার চরের শস্য বৈচিত্র্যতা এখন সমতল ভূমি থেকে অনেক বেশি। চর কৃষির বাম্পার ফলনে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের তিস্তা নদী বিধৌত গোবর্ধন ও চর মহিষখোঁচার তিস্তা পাড়ের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। তিস্তা নদীর বালু চর এখন আর অভিশাপ নয়। বালু চরে বিভিন্ন ফসল চাষ করে তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার কৃষক এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
প্রতিবারের বন্যায় তিস্তার ভাঙ্গনে হাজার হাজার পরিবার গৃহহারা হয়ে পড়ে। বালু পরে নষ্ট হয়ে যায় কয়েক হেক্টর ফসলি জমি। বন্যার পানির সঙ্গে আসা বালু জমিতে পড়ে পতিত হয়ে জমিকে চাষের অনুপযোগী করে তোলে।
অতঃপর কৃষকরা কঠোর পরিশ্রম করে জমির উপরের বালু মাটি তুলে এঁটেল মাটি বের করে চাষ করেন মিষ্টি কুমড়া, তরমুজ, পেয়াজ, আদা, হলুদ, রসুন, কাউন, ভূট্টা, চীনা বাদাম, সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। এসব বালু চরে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে অনেক কৃষক সাফল্যের মুখ দেখছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করে যাচ্ছে।