আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: তেজপাতা একটি মশলা জাতীয় ফসল। বাংলাদেশের রান্না ঘরে বা রেস্টুরেন্টে তেজপাতা ছাড়া রান্না হয় না। তরকারি ছাড়াও বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরিতেও তেজপাতা ব্যবহৃত হয়। তেজপাতার অনেক ওষুধী গুনও রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক জেলায় তেজপাতার গাছ দেখা গেলেও বাণিজ্যিক ভাবে এর চাষ কম দেখা যায়। লালমনিরহাট জেলায় বাণিজ্যিক ভাবে তেজপাতার আবাদ হচ্ছে। এর মধ্যে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে আবাদ হচ্ছে। একটি গাছ থেকে বছরে দুই বার পাতা তোলা যায়।
জানা যায়, প্রথমে জমি প্রস্তুত করে তেজপাতার চারা রোপন করতে হয়। এর পর জমিতে প্রতি বছর সেচ দিতে হয়। বছরে দুই বার সার দিতে হয়। অন্য ফসলের তুলনায় তেজপাতা চাষে খরচ কম।
তেজপাতা চাষীরা জানান, তেজপাতা চাষে তেমন খরচ হয় না। চারা লাগানো আর একটু পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলেই চলে। রোগ বালাই বলতে তেমন কিছুই নেই। তবে বসন্তের সময় একটু পোকা লাগে। সেই সময় একটি ঔষধ স্প্রে করতে হয়।
চাষীরা আরও জানান, তেজপাতা সাথী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। এতে এক সাথে দুই ধরনের ফসল পাওয়া যায়।