হেলাল হোসেন কবির: ১৯৮০ সালের দিকে কয়েক জন বন্ধু মিলে ভাষা শহীদদের স্মরণ করার জন্য তৈরি করে একটি শহীদ মিনার। সে সময় এখানে মানুষজন এই শহীদ মিনারে ২১শে ফেব্রুয়ারি ফুল দেওয়ার পাশাপাশি করতো বিভিন্ন জমকালো অনুষ্ঠান। আজ ধিরে ধিরে লোক সমাজের আড়াল করে রেখেছে সেই শহীদ মিনারটি।
লালমনিরহাট জেলা সদরের বড়বাড়ী ইউনিয়নের বড়বাড়ি বাজারের কাঁচা বাজার (মহিলা মার্কেট) এর পিছনে জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে একটি শহীদ মিনার। কেউ নেয়নি কোন ধরতে মেরামতের উদ্যোগ। যার ফলে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে শহীদ মিনার।
এটি অত্র এলাকার এক সময়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থাকলেও এখনও জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে সেটি। দীর্ঘ কয়েক বছরে শহীদ মিনারটির সংস্কারের নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
জানা যায়, ১৯৮০ সালের দিকে বড়বাড়ির আমবাড়ি গ্রামের নুরুজামান মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে মেহেরুল্লাহ, বাংগোর, হবিসহ কিছু যুবক এই শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেন। সে সময় দূর থেকে এসে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করত এই শহীদ মিনারে।
২০০১ সালের সালের পর থেকে এটি আর সংস্কার করা হয়নি। এভাবে ধীরে ধীরে বর্তমানে ধ্বংস প্রায় হয়ে গেছে এ শহীদ মিনারটি।
মহান ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব কারি ভাষা সৈনিক জহির উদ্দিন বলেন, যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তখন সেই সরকারের নেতাদের নাম জাহির করতে ব্যস্ত থাকার ফলে ও প্রশাসনের জ্বি হুজুর স্বভাব বাস্তবায়ন করার ফলে এ রকম কাজগুলোর ঢাকা পরে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, শহীদ মিনারটি মেরামত করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা না হলে প্রয়োজনে সেখানে সাংবাদিকদের ডেকে অনশনে বসে পড়বো।
এলাকাবাসী জানান, মহান শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ২১শে ফেব্রুয়ারিতে আমরা ফুল দিতাম এই শহীদ মিনারে। বাজার কর্তৃপক্ষ আস্তে ধীরে শহীদ মিনারটিকে মানুষের চোখের আড়াল করতে শুরু করেন। এক সময় দু’একজন এর প্রতিবাদ করলেও এখন শহীদ মিনারটির বিষয়ে কেউ মুখ খুলে না। এখনও এই এলাকায় কোন শহীদ মিনার নেই। সরকার সুদৃষ্টি দিলে এর সঠিক সমাধান করা যাবে বলে এলাকাবাসী দাবি জানান।