আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার দেশী আটিয়া কলা মোটা ও লম্বা হয়। এ কলায় অনেক ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে।
লালমনিরহাটের গ্রামগঞ্জে এখনো প্রচলিত রয়েছে, আটিয়া কলা ও চিড়া খেলে পাতলা পায়খানা কমে যায়।
লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী বলেন, দেশি আটিয়া কলা এক সময়ের জনপ্রিয় খাবার ছিল। আমি ছোট থেকে প্রতিদিন সকালে দেশী আটিয়া কলা দিয়ে ভাত খেতাম।
কুলাঘাট ইউনিয়নের খাটামারী গ্রামের হাসান আলী বলেন, যদি কারো পাতলা পায়খানা হয় তাহলে দেশী আটিয়া কলা আর দুধ, চিড়া খেলে ভাল হয়ে যায়।
কলা ব্যবসায়ী তরফ আলী বলেন, দেশী আটিয়া কলা এখন খুবই কম পাওয়া যায়। কিছু কিছু গ্রামে আটিয়া কলা পাওয়া যায়। তবে আগে অনেক পাওয়া যেত এখন তা কমে এসেছে। তবে এখনো কিছু কিছু গ্রামের মানুষ এই কলা খোঁজ করে।
ফুলগাছ গ্রামের সাহেব আলী বলেন, আমি আমার জমিতে এ আটিয়া কলার চাষ করেছি। এতে জমির ভাঙ্গণ কমে যায় শিখরের কারণে।
জানা যায়, একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা। শর্করা পরিপাকতন্ত্রকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে।
গবেষকেরা বলছেন, আটিয়া কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করে। এ কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে।
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম বলেন, এ কলার বিচি বেশি হওয়ার কারণে কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে না। তবে গ্রামের বাড়ির আশে-পাশে এ কলার গাছ দেখা যায়। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে আটিয়া কলা টিকিয়ে রাখা সম্ভব।