শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের
দিনারুন কষ্টে দিন কাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটির

দিনারুন কষ্টে দিন কাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটির

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: রাস্তার উপর ধূ ধূ বালুকণা রোদে চিকচিক করছে, আর চারপাশে খা খা পরিবেশ। লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ওয়াপদার বাঁধ (পানি উন্নয়ন বোর্ড)র রাস্তা ধরে সোনাতলা থেকে সোজা পূর্বদিকে চর বুদারু’র দিকে চলন্ত পথে। হঠাৎ চোখে পড়লো একটি সাইনবোর্ড। সাইনবোর্ডটি দেখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হলো। বড় বড় অক্ষরে লেখাগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে পাশের কয়েকটি টিনের চালা বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে ঘেরা ছোট ঘরটি দেখে যেন ঢেঁকুস আটকে গেলো। সরকারি ওয়াপদার ধারে রাস্তার এই ঘরটিতে বসবাস করে একটি বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার!

বড়বাড়ী ইউনিয়নের খেদাবাগ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি খুব অবহেলায় জীবন অতিবাহিত করে আসছে। বড় বড় অক্ষরে লেখা গুলো মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী (ভূমিহীন)।

 

জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী-এঁর স্ত্রী মোছাঃ খচিরন বেওয়া (৭৫) জানান, আমার স্বামী ২০১৬ সালে  মৃত্যু বরন করেন। ৩ছেলে, ২মেয়ে, নাতি-নাতনি নিয়ে ওয়াপদার বাঁধের রাস্তার ধারে অসহায় ভাবে বসবাস করে আসছি। আমাদের কোন জমি জমা নেই। সরকার যাতে আমাদের দিকে একটু সুদৃষ্টি দেন।

 

তাঁর ছেলে আব্দুল খালেক (৫৫) কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে আমাদের। খুব কষ্ট করে ৫ভাই-বোনদের মানুষ করেছেন। শুনতেছি সরকার মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের বাড়ি করে দিচ্ছে আমাদের দিকে একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বেচে থাকতে পারি।

 

তাঁর ছোট ছেলে বাবুল (৪০) বলেন, আমাদের মতো অভাবী আর দুটো পরিবার খুঁজে পাওয়া যাবেনা। নিঃস্ব হয়ে ওয়াপদার বাঁধে এসে ঘর তুলে ৮-১০বছর ধরে বসবাস করছি।

তাঁর মেয়ে দুলালী বেগম বলেন, থাকার কোন স্থান নাই, কোন রকম খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে। আর এদিকে তেমন কাজও নাই যে, ঠিক মতো কর্ম করে সংসার চালাতে পারবো।

বড়বাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইয়াসিন আলী মোল্লা বলেন, যারা তালিকা করেন তাদেরকে বহু আগ থেকে পরিবারটির বিষয়ে বলে আসছি। কেন যে পরিবারটি মাথা গোজার ঠাই পাচ্ছে না তা আমি জানি না। তবে, এই তালিকার সাথে আমার কোন হাত নেই। সাংবাদিকরা পরিবারটির খোঁজ খবর নিচ্ছেন জেনে আমারও ভালো লাগলো।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone