আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুই দিনে (রোববার-সোমবার) সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে লালমনিরহাটের শহর ও গ্রাম-গঞ্জের জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে।
তীব্র শীতে ও ঘন কুয়াশায় রাস্তা-ঘাটে যানবাহন ও মানুষ চলাচল কমে গেছে। হাতে কাজ না থাকায় চরের অভাবী মানুষের ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। শীতবস্ত্রের অভাবে হত-দরিদ্র মানুষগুলো চরম কষ্টে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দিনাতিপাত করছে।
লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলাসহ লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় তীব্র শীতের কারণে গ্রামাঞ্চলসহ তিস্তা-ধরলা, রত্নাই বেষ্টিত ৬৩টি চরের মানুষ পড়েছে সবচেয়ে বেকায়দায় । রোববার দিনভর মৃদু কুয়াশা ছিল। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা লালমনিরহাট জেলা। গতকাল রোববার শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সন্ধ্যার পর থেকে এর ঘনত্ব বাড়ে। রাত ১০টার পর ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় পুরো এলাকা। একই অবস্থা আজ সোমবার হিমেল হাওয়ার কারণে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা। ফলে লালমনিরহাট জেলা শহরের বিপণি-বিতান, রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল, অটোরিকশা স্ট্যান্ডসহ কোলাহলপূর্ণ স্থানগুলোতে লোকজন নাই বললেই চলে।
রোববার থেকে আজ সোমবার সারাদিন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে হতদরিদ্র মানুষগুলো আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এলাকায় ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায় লালমনিরহাট শহর ও গ্রাম। ফুটপাতের সবজি, মাছ, ফলমূল ও শীতের কাপড় ব্যবসায়ীরা বেচা-কেনা না থাকায় তারা দোকান গুছিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। রিকশাচালক, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরাও ভাড়ার আশায় আর বসে থাকছেন না।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.