আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার ২নং কুলাঘাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভালোবাসার ব্রীজ থেকে মামা-ভাগিনা বাজারের পূর্ব পার্শ্বে কলিম উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ওই অঞ্চলের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির অনেক অংশেই এখন কার্পেটিং উঠে খোয়া বের হয়ে গিয়েছে। এতে বিশেষ করে বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল চালকদের পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। কারণ রাস্তার উঠে যাওয়া খোয়াতে স্লিপ কেটে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় অনেককে।
জানা যায়, ২নং কুলাঘাট ইউনিয়নের ভালোবাসার ব্রীজ থেকে মামা-ভাগিনা বাজারের পূর্ব পার্শ্বে কলিম উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের দূরত্ব সাড়ে ৩কিলোমিটার। ২০১৮ সালে এই আঞ্চলিক সড়কটির নির্মাণ করা হয়।
এলজিইডির অধিনস্থ এই রাস্তাটি ২০১৮ সালে তৈরী হলেও ২০১৯ এর মাঝামাঝি সময়ে দেখা যায় যে, এটি যেন ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়েছে, দীর্ঘদিন মেরামত না করা ও ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, এই সড়কে ট্রাক, মাইক্রো, ট্রলি (বালুবাহী), ইজিবাইক, ভ্যান, ঘোড়ার গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এই অঞ্চলের চরখাটামারী, বস্তিখাটামারী, আলোকদিঘি, চরবুদারু, চর মেকলি, পশ্চিম ধনিরাম, সোনাইকাজি, নবীন বাজার, টুংটুংগির চরসহ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ লালমনিরহাট জেলা সদরে যাতায়াত করে। কিন্তু অনেক দিন ধরে সংস্কার না করায় রাস্তাটির বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষকরা জানান, এই এলাকা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাঠানো হয়। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ায় যানবাহনের ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে।
ইজিবাইকরা জানান, রাস্তায় নানা স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া খানাখন্দের কারণে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে লোকসানে পড়তে হচ্ছে তাদের। সময় অনেক বেশি লাগে যাতায়াতে। তাছাড়া ঝাঁকির কারণে যাত্রীরাও উঠতে চায় না গাড়িতে এবং সাধারণ পথচারীরা তো খালি পায়ে হাঁটতে পারেনা।