আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে অনেকে ফুল চাষে স্বাবলম্বী হলেও চাহিদার তুলনায় বাড়ছেনা ফুল চাষীর সংখ্যা। ফলে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে বাইরের জেলা থেকে ফুল কিনতে হয় বলে জানান বিক্রেতারা।
ফুল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উর্বর ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা প্রবণ হওয়ায় লালমনিরহাটের মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী। তবে পুঁজির অভাবে ফুল চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন বলে জানান ফুল চাষীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, লালমনিরহাটে ফুল চাষে কৃষকদের উৎসাহী করতে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তারা।
চোখ জুড়ানো বাগান কৃষক হাফিজুর রহমানের। ফুলগুলো শুধু সৌন্দর্য্য বর্ধন করছেনা প্রতি মাসে এই কৃষকের হাতে এনে দিচ্ছে মোটা অংকের টাকাও।
এ রকম গাদা, রজনীগন্ধা, জিপশি, কাগজীসহ অন্যান্য ফুল চাষ করেও স্বাবলম্বী এই কৃষক।
ফুল বিক্রি করে বেশি মুনাফা পেলেও পুঁজির অভাবে চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে।
তারা বলছেন, ফুল চাষে লাভ পেতে অপেক্ষা করতে হয় এক থেকে দেড় বছর। আর ফুলের চাষ কম হওয়ায় লালমনিরহাটে চাহিদার সত্তর ভাগ ফুল বাইরের জেলা থেকে আনতে হয় বলে জানান বিক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলেন, ফুল লাগালে এক বছর জমিটা পড়ে থাকে। আমরা কোন লাভ পাইনা। শীতকালে ফুল ফোটে কম, তাই আয়ও কম। গ্রীষ্মকালে অনেক ফুল ফোটে।