আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ করেছেনন পাথর সিলিকা, বালু কোয়ারি ও ঠিকাদার এসোসিয়েশনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন লিপু।
জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় পাথর ও বালু কোয়ারি সক্রান্ত গত ৮ জানুয়ারি মন্ত্রী পরিষদের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবু জাফর-এঁর অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম কামরুন নাহার পাটগ্রাম উপজেলার পাথর ও বালু ব্যবসায়ীগণকে বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী নীলফামারী জেলার পাথর ও বালু ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করা, একক স্বেচ্ছাচারিতা, প্রতিবাদে আজ সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে পাটগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়। পাটগ্রাম উপজেলা পাথর ও বালু ব্যবসায়ী সমিতি আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সমিতির উপদেষ্টা আবু বক্কর সিদ্দিক বাচ্ছুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদেরর ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন লিপু। এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী যু্ব লীগের পাটগ্রাম পৌর শাখার সভাপতি বিজয় কুমার সুর, ব্যবসায়ী আবু নাইম রুবেল, পলাশ সাহা, নাজমুল হুদা রাসেল, মফিজুলসহ ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অশ্রায়ন-২ প্রকল্পের অধীনে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ১শত ২৩টি ঘর নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ১শত ১৫টি ঘর নির্মাণের কাজ চলমান। ২শতাংশ খাস জমির উপর প্রতিটি টিন শেড বিল্ডিং ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১লক্ষ ৭১হাজার টাকা। ৩শত ৯৪বর্গফুটের ওই বাড়িতে নির্মাণেও অনিয়ম করেছেন এবং কমিটিতে কতজন সদস্যও রয়েছে তারও কোন নিয়ম মানেননি ইউএনও। তিনি একাই পুরো প্রকল্পের সব কিছু করায় প্রচুর দূর্নীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন সংবাদ সম্মেলনে।
সম্মেলন শেষে ব্যবসায়ীবৃন্দ এক বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলে ইউএনওর দ্রুত অপসারণসহ নতুন ইউএনও নিয়োগ দেয়ারও দাবি জানান।