হেলাল হোসেন কবির: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সরাপুকুর ইউনিয়নের সরল খাঁ গ্রামে দিনে দুপুরে আলুর ফসল নষ্ট করে দেওয়া ও কৃষককে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১ঘটিকার ও বিকেলে অত্র এলাকার মৃত্য জবেদ আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৪) এর আলুর ফসল নষ্ট করে একই এলাকার মৃত্যু আফজাল হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেন (৪০), মোঃ আলতাফ হোসেন (৩৩) ও শফিয়ার রহমান গংরা।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, তারা আমার কাছে জমি বন্ধক রেখে আমার নিকট হইতে নগদ ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা গ্রহণ করে। ইহার পর তারা বন্ধকী জমিতে ধানের ক্ষেত থাকায় তাহারা আমাকে ধানের অর্ধেক ভাগ দিবে বলিয়া ও যতদিন উক্ত বন্ধকী টাকা পরিশোধ করিবে না ততদিন আমি চাষাবাদ করিয়া আসিব মর্মে বিবাদীগণ ১শত টাকা মূল্যের তিনখানা অর্থাৎ ৩শত) টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সকল বিবাদীগণ সহি স্বাক্ষর করিয়া অঙ্গীকার নামা লেখিয়া দেয়। জমি ৫৪শতক জমির পরিবর্তে ৪০শতক জমি ইহার পর আমি উক্ত বন্ধকী ৪০শতক জমিতে তামাক ক্ষেত রোপন করি এবং পরিচর্যা করিয়া আসিতেছি। গত ১১ ডিসেম্বর বিকাল অনুমান ৩ঘটিকার সময় উক্ত আশরাফ, আলতাব ও শফিয়ার আমার বাড়ির সামনে আসিয়া উক্ত বন্ধকী জমি বাবদ আরও ৫০হাজার টাকা চায়। আমি তাহাদের কথায় অপারগতা প্রকাশ করিলে তাহারা ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করে এবং জমি গেলে খুন জখম করিবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে। তখন আমি নিরুপায় হইয়া আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।
জাহিদুল আরও বলেন, কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে আজ আমার বন্ধক নেওয়া জমির তামাক ক্ষেতে সমস্ত তামাক ফসল ও আলু ফসল মিলে প্রায় ৫০হাজার টাকা সম্পদের ক্ষতি সাধন করে। আমি উক্ত ঘটনা দেখিয়া তাদের কাছে কারণ জানতে গেলে তাদের বাহিনীর আক্রমণের শিকার হই।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ রঞ্জু মিয়া বলেন, জমি বন্ধক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের বিরোধ হয়েছে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে।