আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: চরজুড়ে কিছু দিন আগে সবুজে ভরে যাবার পর চোখে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলো সাদা কাশ ফুলের বন। সেই কাশ এবার সোনালী হয়ে চরের মানুষের অর্থনৈতিক চাহিদা যোগাচ্ছে। চরের কাশ যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার মোগলহাট ও কুলাঘাট ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কাশ আঁটি কৃষকের মুখে হাসি এনেছে। চরে বর্তমানে কাশ আঁটি বিক্রির ধুম পড়েছে।
জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার ধরলা নদীতে জেগে ওঠা কয়েকটি চরে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার অনেক বেশি জন্মেছে কাশ। যার কারনে চরে ছিলো দর্শনার্থীদের ভীর। দূর থেকে অনেকে কাশ বনে এসে পিকনিক করতো সেলফি তুলে বাজিমাত করে রেখেছিলো চর এলাকা।
কাশবন এখন মরতে শুরু করেছে। তাই চরের মানুষ কাশ কেটে বিক্রি করছেন। বিগত বছরের তুলনায় দামও তিন গুণ বেড়েছে কাশ আঁটির।
আরও জানা যায়, লালমনিরহাট সদরের ধরলা নদীর বুকে জেগে উঠা চর ফলিমারী, কুরুল, মাঝের চর, খারুয়ার চর, বুমকা, খাটামারী, চর কুলাঘাট, শিবেরকুটি, চর শিবেরকুটিতে এসব কাশ ব্যাপকভাবে হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চরের কাশ ক্রয় করতে রাজশাহী থেকে পাইকাররা এসে চরাঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে কাশ কিনে নিয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের দুরাকুটি গ্রামের বটতলা চাতালে মজুদ করেছে। তা পরবর্তীতে ট্রাকে লোড করে সড়ক পথে নিয়ে যান তারা।
রাজশাহী থেকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার দুরাকুটি বাজারে পাইকারি দরে কাশ কিনতে এসেছেন করিম সোনা। তিনি বলেন, চরাঞ্চল থেকে কাশ কিনে ট্রাকে করে সড়ক পথে নিয়ে যাই আমরা। পান চাষিরা রাজশাহীর মোহপুর থানার শৈই পাড়া হাটে আমাদের কাছ থেকে কাশ কিনে পানের বরজে ব্যবহার করেন।
তিনি আরও বলেন, এক আঁটি কাশ ক্রয়সহ যাবতীয় খরচ মিলে ৩৪টাকার মতো ব্যয় হয়। যা রাজশাহীতে ৪৪ থেকে ৫০টাকায় বিক্রয় হয়।