আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের বড় কমলাবাড়ী গ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র আবু তালেব। ফরিদপুরের একটি বেসরকারী ফার্মে চাকরি করেন।
বেসরকারী ফার্মটিতে পরিদর্শনে আসা বিদেশী মেহমানদের জন্য ফার্মের মালিক ড্রাগন ফল দিয়ে আপ্যায়ন করান। সেখানে ড্রাগন ফলের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয় আবু তালেবের।
সেই থেকে এ পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ড্রাগন ফলের বাগান করার আগ্রহ দেখা দেয় আবু তালেবের। ব্যয় বহুল হলেও নিজের পরিবার ও প্রতিবেশীদের জন্য বিদেশী ফল ড্রাগন ফ্রুট কিনে নিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন নিজ উদ্যোগে আবু তালেব।
এরপর আবু তালেব পরিবারের ২ভাইয়ের সহযোগিতায় ড্রাগন বাগান করার উদ্যোগ নেন। পুষ্টিগুণের কারণে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে ড্রাগন ফল।
কাণ্ড থেকে পাতাহীন ড্রাগন গাছ জন্মায়।
কমলাবাড়ী ইউনিয়নের বড় কমলাবাড়ী বটতলা এলাকায় ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিজেদের প্রায় ২একর জমির উপর অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে ৫শতাধিক পিলারে ২০হাজার চারা রোপণ করে তৈরি করেন ড্রাগন বাগান। নাটোর থেকে ড্রাগন ফলের চারা ক্রয় করেন তারা। ১বছর ৬মাস বয়সে ফল দেওয়ার কথা থাকলেও তা ১০ থেকে ১১ মাসেই ফল দেওয়া শুরু করেছিল। বিদেশী এ ফল ও বাগান দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষজন ভিড় জমায় আবু তালেবের জে.এস ড্রাগন গার্ডেনে।
বিদেশী ফল ড্রাগন ফ্রুটের দাম কেজি প্রতি ২শত ৫০টাকার উপরে মর্মে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে জে.এস ড্রাগন গার্ডেনে পরিদর্শন করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লালমনিরহাটের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.