আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে তিস্তা নদী থেকে কোনো প্রকার ইজারা ছাড়াই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদী থেকে অবাধে প্রতিদিন শত শত ট্রাক্টরে বালু পরিবহন করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট থেকে শুরু করে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টটা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ভূল্ল্যারহাট অংশে চলছে খনন কার্যক্রম। কোন অবৈধ বালু উত্তোলনের মেশিন ব্যবহার না করে প্রায় দু'মাস ধরে কোদাল দিয়ে বহু ট্রাক্টরে করে এ খনন কার্যক্রম চালাচ্ছে অবৈধ্য বালু ব্যবসায়ীরা।
আরও জানা গেছে, বালু ব্যবসার প্রভাবশালীদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। অবাধে ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসত-বাড়িসহ আবাদি জমি দেবে ভূমিধস ও নদী ভাঙনের আশংকা করছে ভূক্তভুগীরা। বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই শুরু হবে নদী ভাঙনের খেলা। মাঝে মধ্যে প্রশাসন থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করা হলে ব্যবসায়ীরা স্থান পরিবর্তন করে আবারও বালু উত্তোলন শুরু করে।
নদী তীরবর্তী সাধারণ মানুষ জানায়, গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করায় বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন ভয়াবহরূপ নিতে পারে এবং নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়িসহ ফসলি জমি। সিন্ডিকেটটি প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে চলছে।
২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে, বিপণনের উদ্দেশে কোনো উন্মুক্ত স্থান বা নদ-নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ। এ আইন অমান্যকারী ব্যক্তি, সহায়তাকারী অনূর্ধ্ব ২বছর কারাদণ্ড বা ৫০হাজার টাকা থেকে ১০লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.