আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় হঠাৎ অাদিতমারী ইউএনওসহ ১৮জন কর্মকর্তা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে তাদের লাঞ্চিত করার লিখিত অভিযোগ করেন। যা সংবাদ সম্মেলন করে ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে দাবি করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস।
উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার দুর্নীতির অনুসন্ধানী সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মহলে একাধিক বার প্রচার হয়। সামাজিক বেষ্টনী প্রকল্পের অসঙ্গতী (জীবিত স্বামীকে মৃত দেখিয়ে বিধবা ভাতা উত্তোলন, সুস্থ্য ব্যক্তিকে প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদান, মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে চিকিৎসার টাকা অাত্মসাৎ, মাতৃত্বকালীন ভাতার চেক দিলেও, ব্যাংকে টাকা না থাকাসহ বেশ কিছু অভিযোগ)। যার ফলে ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনসহ কতিপয় কর্মকর্তাকে তাগিদ দিয়ে আসছিলাম। অপর দিকে এসব বিষয়ে জনসাধারণ প্রতিদিনই উপজেলা চত্ত্বরে হট্টোগল করে আসছিল।
গত ১২ নভেম্বর ভিজিডি কার্ড নিয়ে অালোচনার সময় হঠাৎ ইউএনও উত্তেজিত হয়ে অশোভন অাচরণ করেন। এক পর্যায়ে নিজের সম্মান রক্ষার্থে অামি বেড়িয়ে অাসি। বারান্দায় সিসিটিভির ক্যামেরার তার নষ্ট মনে হলে অামার ব্যক্তিগত সহকারী হুমায়ুনকে তুলে দেই ঠিক করার জন্য।
মোবাইল কোর্ট করার হুমকি দেয়, চিল্লাচিল্লি শুরু করেন, ফোন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেন। ঠিক তার কিছুক্ষণের মধ্যেই অন্যান্য অফিসারদেরকে ডেকে নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যান।
তিনি তার লিখিক বক্তব্যে অারও বলেন, তার বাবা জেলা অাওয়ামী লীগের অামৃত্যু সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ২০০৩ সালের ২২ ডিসেম্বর তার বাবাকে নিসংস্র ভাবে খুন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার লেখাপড়া করিয়েছেন। চাকরি ইচ্ছা ত্যাগ করে রাজনীতিতে এসেছেন শুধুমাত্র জনসেবা করার জন্য। তিনি দাবি করেন একটি স্বার্থবাদী মহলের শিকার হচ্ছেন বারবার।
ফারুক ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে অাদিতমারীর চলমান দুর্নীতিগুলোকে রাষ্ট্রের অাইন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিচার বিভাগের দৃষ্টিতে অানার অাহ্বান জানান।
এ সময় তার ছোট ভাই চিসতিসহ তার রাজনৈতিক সহকর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।