আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: অনিয়ম-দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর স্বাস্থ্য খাত। দুর্নীতি ছাড়া এই খাতে নিয়োগ, বদলি, পদায়ন এবং পদোন্নতিসহ কোনো কাজই হয় না। এক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীরা এ অর্থ নিয়ে থাকেন। লালমনিরহাটের স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা এতটাই বেহাল যে, দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসক সংকটের কারণে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর স্বাস্থ্য সেবা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো এখন নিজেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে। ফলে ইউনিয়নের মানুষ রয়েছে চরম স্বাস্থ্য জনিত ঝুঁকিতে।
ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া, মহল্লা থেকে প্রতিদিন রোগীরা এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলেও অসহায়, গরীবলোক, দুখী মানুষেরা বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরছেন দিনের পর দিন ধরে। যেন দেখার কেউ নেই। বিশেষ করে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, শিংগীমারী, সানিয়াজান, ত্রিমোহনী, সাকোয়া, মরসতি নদী, ধোলাই, গিদারী, ছিনাকাটা নদীগুলোর চরে বসবাসকারী মানুষেরা এতো বেশী সমস্যায় পড়েছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করার নিয়ম থাকলেও চিকিৎসকদের অনেকেই কর্মস্থলে নিয়মিত যান না। স্বাস্থ্য খাতে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী জিডিপির ৫শতাংশ ব্যয় হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যয় হচ্ছে . ৮৪শতাংশ, বরাদ্দ দিন দিন কমছে। এটি অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। স্বাস্থ্য সেবা খাতে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক মানুষ সেবা নিতে বিদেশে চলে যাচ্ছেন। সুতরাং অনতিবিলম্বে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর দুরবস্থা কাটিয়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।