আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতিনিয়ত ফুরিয়ে যাচ্ছে সোনা ফলানো কৃষি জমি। অপরিকল্পিত বাড়ি-ঘর নির্মাণ, নগরায়ণ, শিল্প প্রতিষ্ঠান, ইটভাটা, পুকুর খনন, মাছ চাষ ও নদী ভাঙনের ফলে বছরে কমছে দেশে ২লাখ একর কৃষি জমি। আবার নগদ টাকার লোভে জমি বিক্রি করে বাস্তুহারা হচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা। প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে বাসগৃহ-দালানকোঠা, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট।
পরিকল্পনাহীন নগরায়ণের ছোবলে কৃষি হারাচ্ছে বৈচিত্র্যও। কোথাও গড়ে উঠছে আবাসন, কোথাও হচ্ছে শিল্প কারখানা। এমনকি ইটভাটার জন্যও প্রতি বছর হাজার হাজার একর আবাদি জমি অনাবাদিতে পরিণত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক দশকে দেশে কৃষি জমির ব্যাপক সংকট হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট সব গবেষণার ফলাফলেই কৃষি জমি আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়া এবং অচিরেই বিপন্নতা সৃষ্টির আশঙ্কা করা হয়েছে। কিন্তু সেই বিপন্নতা মোকাবিলায় সরকারের কোনো সমন্বিত পদক্ষেপ নেই। নেই আধুনিক বাস্তব সম্মত কোনো আইন।
স্থানীয়রা বলছেন, গ্রামাঞ্চলে জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে ঘর-বাড়ি তৈরির প্রয়োজন পড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে ফসলি জমির ওপর। পরিবার বিভক্ত হলে তার প্রথম ধকলটিই পড়ে কৃষি জমিতে।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, বছরে যে পরিমাণ কৃষি জমি কমছে তার অর্ধেকই যাচ্ছে অনুৎপাদনশীল খাতে। অপরিকল্পিত ব্যবহারের ফলে ৬৫ শতাংশ জমির উর্বরা শক্তিও হারিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় এখনই কৃষি জমি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। সরকারি উদ্যোগেও কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে কৃষি জমি কমে যাচ্ছে তা নয়, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কারণেও কমছে কৃষি জমি। সবচেয়ে বেশি সর্বনাশ যত্রতত্র ইটভাটা। গ্রামাঞ্চলে কৃষিজমির সবচেয়ে বড় সর্বনাশ ঘটাচ্ছে ইটভাটাগুলো। ৮ থেকে ১০ একর জমি ধ্বংস করেই এসব ইটভাটা গড়ে ওঠে। ইটভাটার জন্য মাটিও কেটে নেওয়া হয় আবাদি জমি থেকে। রংপুর বিভাগে ৮হাজার ৭শত ৮১হেক্টর প্রতি বছর অকৃষি জমিতে পরিণত হচ্ছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.