আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে গুজবে উত্তেজিত জনতার হাতে যুবক নিহত হবার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট (এডিএম) টি,এম,এ মোমিন কে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক অাবু জাফর।
গতকাল ২৯ অক্টোবর শহিদুন্নবী জুয়েল নামের এক ব্যক্তি ধর্মিও অনুভুতিতে অাঘাত হানার অভিযোগে উশৃঙ্খল জনতার হাতে নিহত হন। পড়ে তার দেহ অাগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। জুয়েল রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র শালবন মিস্ত্রীপাড়ার অাব্দুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। তিনি রংপুরের একটি সনামধন্য স্কুলে লাইব্রেরিয়ান ছিলেন। কিছুদিন অাগে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তাকে চাকরি হারাতে হয়। তবে, তার পরিচিতরা দাবি করছেন, জুয়েল শান্ত এবং পরহেজগার ছিলেন।
বুড়িমারী বাজার মসজিদের খাদেম বলেন, তার সাথে জুয়েল হ্যান্ডসেক করে মসজিতে প্রবেশ করেছিলেন। জুয়েল নামাজ শেষে মসজিদের বই রাখার তাকগুলো খুঁজতে থাকেন। এ সময় কিছু বই সেখান থেকে পড়ে যায়। তবে, সেখানে অবমাননা বা ধর্মিও অনুভুতিতে অাঘাত হানার মত কিছু ঘটেনি। পরে, স্থানীয় এক ব্যক্তি তাকে বাহিরে নিয়ে গেলে, স্থানীয় ইউপি সদস্য জুয়েলকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নিয়ে যায়।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার অাবিদা সুলতানা বলেন, ঘটনার সংগে সংগে বিজিবিসহ পার্শ্ববর্তি থানার পুলিশ এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এর পর অাইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন কুমার মোহন্ত বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ কিছুক্ষণের মধ্যেই সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে। তাদেরকে কোন ভাবেই কেউই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলনা। একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম বলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেট, এডিশনাল এসপি এবং পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহার এর সমন্বয়ে কমিটি করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।