শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা
তামাকজাত দ্রব্য ও ধূমপায়ীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে

তামাকজাত দ্রব্য ও ধূমপায়ীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটে ধূমপান বিরোধী তৎপরতা ও আইনের প্রয়োগ নেই। তামাকজাত দ্রব্য সেবন ও ধূমপায়ীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে। প্রকাশ্যে ধূমপান বিরোধী আইন প্রণয়ন করা হলেও এর কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে হয় না। নীতি-নৈতিকতার অভাব, কুফল সম্পর্কে অজ্ঞতা, ফ্যাশন হিসেবে মনে করা, সচেতনতার অভাবসহ সহজলভ্য হওয়ায় ধূমপায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। সরকার দেশে তামাকজাত দ্রব্য থেকে রাজস্ব পাচ্ছে ৭হাজার কোটি টাকা। আর ধূমপানের কারণে সৃষ্ট রোগের পিছনে ব্যয় করছে বছরে ১১হাজার কোটি টাকা। আইন প্রণয়ন করা হলেও প্রকাশ্যে ধূমপানের অভ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপক হারে। বয়স্ক মানুষের পাশাপাশি শিশু-কিশোররাও ধূমপানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্য সেবনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় আইনে নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশ্যেই চলছে এসব কার্যক্রম। বিড়ি-সিগারেটের কোম্পানীগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর জন্য লালমনিরহাট জেলার হাট-বাজারে বিক্রয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কৌশলে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে লোভনীয় অফার দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের ধূমপানের প্রতি আগ্রহী করে তুলছে। এসব কোম্পানীর বিক্রয় প্রতিনিধিরা যেসব স্থান বেশি সংখ্যক শ্রমিকরা কাজ করে সেসব স্থানে গিয়ে তাদের ধূমপানের প্রতি আকৃষ্ট করতে বিনামূল্যে বিড়ি-সিগারেট বিতরণ করে থাকে। বিনামূল্যে বিড়ি-সিগারেট খেতে খেতে এক সময় অভ্যস্ত হয়ে নিজেরা পকেটের টাকা দিয়ে বিড়ি-সিগারেট কিনে খাওয়া শুরু করে। প্রকাশ্যে ধূমপান ও তামাক কোম্পানির কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা তেমন না নেওয়ায় অবাধে এ অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে ধূমপায়ীরা প্রত্যক্ষভাবে এবং ধূমপায়ীর আশপাশে থাকা অধূমপায়ীরাও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ধূমপায়ীর পরিবারের শিশু ও নারীরা।কারণ বাড়ির কর্তাব্যক্তি বাড়িতে বসে ধূমপান করলে তখন বাড়ির শিশু ও নারীদের ক্ষতির শিকার হতে হয়। তাছাড়া ১৮বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের দিয়ে বিড়ি-সিগারেট ও তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় আইনে নিষিদ্ধ হলেও লালমনিরহাট জেলার কোথাও মানা হয় না এ আইন।

সাধারণত হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন দোকানে শিশুরাই কাজ করে। আর তারাই তামাকজাত দ্রব্যের আনা নেয়া করে থাকে। তাছাড়া পানের দোকানে অবাধে নানা প্রকার ক্ষতিকর জর্দা, গুল বিক্রি হলেও এ ব্যাপারে কোন আইনি পদক্ষেপ দেখা যায় না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিড়ি-সিগারেটের ধুয়াসহ তামাকজাত দ্রব্যে ৪হাজারের বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। তামাক সেবনের ফলে প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫৭হাজার মানুষ মৃত্যু বরণ করে। আর তামাকের কারণে আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসায় সরকারকে ব্যয় করতে হচ্ছে ১১হাজার কোটি টাকা। পক্ষান্তরে এ খাত থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে ৭হাজার কোটি টাকা। ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিকতার শিক্ষাদান, তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এর হাত থেকে উত্তোরণ সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone