আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: নাম পরিচয়হীন মানুষের বেওয়ারীশ লাশ দাফন করার সুখ্যাতি অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখা দুস্থ্য ও অসহায় এবং অবহেলিত মানুষের কল্যাণেও কাজ করে যাচ্ছেন।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখা প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ অবধি ৯৮জন বেওয়ারীশ লাশ দাফন করেছেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যু, অপমৃত্যু নাম পরিচয়হীন মানুষের লাশের সৎকারে এখন আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখার বিকল্প নেই। ধর্মীয় ও সামাজিক কল্যাণমুখী একটি সংগঠন হিসেবে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে লালমনিরহাটের মানুষের মনে ঠাই করে নিয়েছে উক্ত সংগঠনটি। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখার কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৫ সালে। দীর্ঘ দিন থেকে সংগঠনটি নানা ব্যতিক্রম ধর্মী সেবার জন্য ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। মূলতঃ বেওয়ারীশ লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখা সাধারণ মানুষের কাছে একটি আদর্শ সেবামূলক সংগঠনের মর্যাদা লাভ করেছে। ২০০৫ সাল হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ৯৮জন বেওয়ারীশ লাশ দাফন করেছে এই সংগঠন। সংগঠনটির নিজস্ব তহবিল হতে লাশ দাফনের ব্যয় নির্বাহ হয়। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখার সভাপতিঃ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ আবু জাফর ও সদস্য সচিবঃ রফিকুল আলম খান স্বপন।
জানা যায়, মৃত্যুকালে যেসব হতভাগ্য মানুষের কেউ থাকে না আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখা তাদের আপনজনের ন্যায় দায়িত্ব পালন করে থাকেন। ধর্মীয় মর্যাদায় বেওয়ারীশ লাশগুলি দাফন শেষে তাদের আত্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া মাহফিলের আয়োজনও করে তারা।
আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখার অন্যান্য কর্মসূচিগুলিও মানুষের সেবার ক্ষেত্রে অনন্য হয়ে উঠেছে। শীত কবলিত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ত্রাণ (খাদ্য সামগ্রী) ও শাড়ী বিতরণও অনুষ্ঠিত হয়েছে এবারে। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখার কার্যালয়টি লালমনিরহাট জেলা শহরের থানা রোডস্থ। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখার আজীবন সদস্য সংখ্যা ৪১জন, নির্বাহী সদস্য ১১জন। আজীবন সদস্যবৃন্দের অনুদান, যাকাত, ফিতরা, সংগৃহিত কোরবাণীর পশুর চামড়া বিক্রয়, সরকারি-বেসকারি অনুদানের অর্থ আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা শাখার আয়ের প্রধান উৎস।