আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে। তবুও লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর বাম তীরে তীব্র হচ্ছে ভাঙ্গন। লালমনিরহাট জেলার অন্যান্য নিচু অঞ্চলগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে অামন ক্ষেতে।
এবার পবিত্র ঈদ উল আযহার ৮দিন অাগে থেকে নদী ভাঙ্গন শুরু। সেই শুরু থেকে প্রতিদিন ভাঙ্গছে সর্বনাসী তিস্তা নদী। নদী প্রস্থে চলে যাচ্ছে মাথা গোজার ঠাই, সহায় সম্বল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত দুদিনের বিরতীতে গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে অাবার ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে জেলার নিচু অঞ্চলগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতির মুখে পড়ছে অামনের ক্ষেত। স্থানীয় কৃষকরা অামনের ক্ষতির অাশঙ্খা করছেন।
ইসমাইল হোসেন নামের একজন কৃষক জানান, 'পোকাও মরছে, ধানও মরছে'। এবার তিনি তার অামন ক্ষেতে ৪/৫বার করে কীটনাশক ছিটিয়েছেন। এখন যদি অামনের ক্ষেত পানির নিচে থাকে তাহলে তার ক্ষেত থেকে ধান তোলা সম্ভব হবেনা।
তিস্তার ভাঙ্গনে সব থেকে ক্ষতির মুখে অাদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের চন্ডিমাড়ী, গোবর্ধন, রজবটারিতে কিছুতেই নদী ভাঙ্গন থামছেনা। লালমনিরহাট সদরের গোকুন্ডা এবং খুনিয়াগাছ। যদিও এসব এলাকায় জিও ব্যাগ বা বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন বন্ধ করার চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যে স্থানে ভাঙ্গন, সে স্থানেই শ্যালো চালিত ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, তিস্তার ভাঙ্গন থামানোর জন্য ৫শত ৪০কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.