আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: নারায়নগঞ্জের মসজিদে এসি বিস্ফারণের ঘটনায় নিহত শুকুর আলী নয়নের (২৭) দাফন আজ রবিবার ৬ সেপ্টেম্বর সকালে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের তালুক পলাশী গ্রামের নিজ বাড়ীতে সম্পন্ন হয়েছে।
ওই দিন সকালে তাঁর বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, পরিবার, প্রতিবেশি ও স্বজনদের আহাজারি। মুসড়ে পড়া জ্ঞানশূণ্য প্রায় মা বুলবুলি বেগমকে রাখা হয়েছে বোনের বাড়িতে বাবা মেহের আলী, দাদী মেহের জান ও ছোটভাই আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বিপ্লব করছে নানা বিলাপ। মামা তাজুল ইসলাম এবং বন্ধু হাফিজুর রহমান নয়ন জানাচ্ছিলেন ঘটনা ও নয়ন সম্পর্কে।
প্রসঙ্গত দিনমজুর মেহের আলীর বড় ছেলে মোঃ শুকুর আলী নয়ন। মা-বাবা, ছোট দুই ভাই এবং একমাত্র বোনকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে গিয়ে সেখানে; একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। পরে কষ্টার্জিত সঞ্চয়ে এলাকায় খালার দেয়া জমিতে বাড়ি করে মা-বাবা ভাইদের সেখানে ফেরত পাঠান। বোনের বিয়ে দিয়েছেন। আরও কিছুদিন কাজ করে আরেকটু সঞ্চয় হলে এলাকায় ফিরে কিছু করার ও বিয়ে করে সংসার পাতার ইচ্ছে ছিল তাঁর। কিন্তু, গত শুক্রবার ৪ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের মসজিদে এসি বিস্ফোরিত হয়ে নয়নের; সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা লাশের সারিতে পাওয়া যায় তাঁর পোড়া দেহ। নয়ন বাড়ি ফিরলেন ঠিকই কিন্তু লাশ হয়ে।
এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম নয়নকে হারিয়ে পরিবারটির আগামী দিনের জীবিকা সংকটের প্রশ্নও তুলছেন এলাকাবাসী।