লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোল প্লাজায় হামলার চালিয়েছে একদল সশস্ত্র হেলমেটধারী দুর্বৃত্ত।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে লালমনিরহাটের ৮নং গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা সড়ক সেতুর লালমনিরহাট অংশে অবস্থিত টোল প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে তিস্তা টোল প্লাজার ৩জন কর্মচারী আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারী দুর্বৃত্তরা টোল প্লাজার ক্যাশ বাক্স থেকে ১৪লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেযার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে টোল আদায়কারী পরিচালক মোঃ নাজমুল আলম বাদী হয়ে মোঃ মাহফুজার রহমান রাজু (৪০)সহ ১৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫জনকে আসামী করে লালমনিরহাট সদর থানায় ভাংচুর এবং ১৪লক্ষ টাকা নিছিয়ে নেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। লালমনিরহাট সদর থানার মামলা নং-৬২।
তিস্তা টোল প্লাজার ঠিকাদার রানা কনস্ট্রাকশনের পার্টনার নাজমুল আলম জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে ২০ থেকে ২৫টি মোটর সাইকেলে এসে একদল সশস্ত্র হেলমেটধারী টোল প্লাজায় অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় পুরো টোল প্লাজা ভাংচুর করে তারা। টোল প্লাজার ক্যাশ বাক্সে থাকা ২দিনের অন্তত ১৪লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় কর্মচারী সুরুজ মিয়া (৪০), মুসলিম মিয়া (৩৭) ও জুয়েল ইসলাম (২৮) আহত হন। আহতরা লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশের ৫জন সদস্য দায়িত্বরত থাকলেও তারা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ঘটনার পর পরেই তড়িঘড়ি করে একটি পক্ষ সিসিটিভির ফুটেজ ও ঘটনার আলামত নষ্ট করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
টোল প্লাজায় দায়িত্বরত পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর রওশন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় লুটপাটের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তা সিসিটিভির ফুটেজ দেখলে বোঝা যাবে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুন্নবী বলেন, বুধবার রাতে তিস্তা টোল প্লাজার ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত শেষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডাঃ মোকাদ্দেম হোসেন জানান, আহতদের মধ্যে জুয়েল ও সুরুজ্জামানের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।