লালমনিরহাটে “দুনিয়ার মজদুর এক হও দুঃশাসন হটাও-ব্যবস্থা বদলাও-বিকল্প গড়ো” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ মঞ্চে স্থাপিত ম্যুরাল ভাঙার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকাল ৪টা ৩০মিনিটে লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোল চত্ত্বরে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) লালমনিরহাট জেলা কমিটির উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়।
প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্থাপনা ধ্বংসের চক্রান্ত রুখ, মহান মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল ধ্বংসের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে, ৭১ এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, জেলা প্রশাসকের অপসারণ চাই উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) লালমনিরহাট জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড অ্যাড. ময়জুল ইসলাম ময়েজ-এঁর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)র কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সংগঠক অ্যাড. রফিকুল ইসলাম অপু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) লালমনিরহাট জেলা কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক কমরেড অ্যাড. নিরঞ্জন কুমার সিংহ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড অ্যাড. মধুসূদন রায়, যুবনেতা গোপাল চন্দ্র রায়, বদিউজ্জামান সোহাগ, ছাত্র নেতা সাইফুল ইসলাম শিহাব প্রমুখ। এ সময় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) লালমনিরহাট জেলা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঐক্য ন্যাপ কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুল মোনায়েম নেহেরু প্রমুখ।
বক্তাগণ এহেন কাজের জন্য জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দারের অপসারণ ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তাগণ আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৭২ এর সংবিধান, জাতীয় পতাকা প্রশ্নে কোন আপোষ নাই। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ চলবে।
এদিকে রোববার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ মঞ্চে স্থাপিত ম্যুরালটির কিছু অংশে থাকা তিনটি ছবি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ ম্যুরালটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন। গত ২৬ মার্চ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের আচরণের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) লালমনিরহাট। গত ২৯ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) রাসেল আহমেদ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।