লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্দেশে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা সেই ম্যুরালটি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গত ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ ম্যুরালটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন।
গত ২৬ মার্চ লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের আচরণের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) লালমনিরহাট।
গত ২৭ মার্চ দেশী-বিদেশী আন্তর্জাতিক মিডিয়া উক্ত সংবাদ প্রচার করে। প্রচারিত সংবাদগুলোতে জেলা প্রশাসক কিছু গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেছিলেন, “অনেকের আপত্তির কারণে ও জুলাই বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় ম্যুরালটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।”
গত ২৯ মার্চ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) রাসেল আহমেদ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এরপর রাসেল আহমেদ বলেন, “দেশে অনেক কিছুই ঘটছে। আমাকে সংবাদ সম্মেলন করতে দেয়া হয় নাই। আমাদের বার্তা একটাই, আমরা ৫২, ৭১ কে ২৪ এর মুখোমুখি দাঁড় করাতে চাইনা।” এনসিপির পক্ষ থেকে ম্যুরালটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ৪৮ ঘন্টা সময় বেধে দেয়া হয়।
ম্যুরালে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, মুজিবনগর সরকার গঠণ, চরমপত্র পাঠ, উদিত সূর্য, ৭১-এর গণহত্যা, মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী, বিজয়ে উল্লাসে মুক্তিযোদ্ধারা, পতাকা হাতে হাতে বিজয়ে উচ্ছ্বসিত জনতা, ৭ বীরশ্রেষ্ঠ ও পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে।
রোববার (৩০ মার্চ) ম্যুরালটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। তবে, অনেকে মনে করছেন, ম্যুরালটিতে থাকা শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙা হতে পারে।
অতিক্রম লালমনিরহাটের আহবায়ক সাংবাদিক হেলাল হোসেন কবির বলেন, ম্যুরালটি ভাঙা হচ্ছে ডিসির নির্দেশে। ঢেকেও রেখেছিলো ডিসি।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) লালমনিরহাটের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মোঃ মোরশেদ আলম বলেন, আমি এখন ছুটিতে দেশের বাড়িতে। বিষয়টি আমার জানা নেই। সনাকের সভাপতিও অসুস্থ। আমরা সবাই এক সাথে বসে বিষয়টি কথা বলবো। তার পরে সনাক ও টিআইবির বক্তব্য প্রকাশ হবে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার এর বক্তব্য জানা যায়নি।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ শহিদুল ইসলাম এনডিসি সাংবাদিকদের বলেন, “ওটা ডিসি সাবের বিষয়। ডিসি সাবরে জিগান”।