লালমনিরহাটে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের ছবি অপসারণ চাই মর্মে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমনিরহাট জেলার প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টা ৩০মিনিটে লালমনিরহাট জেলা সদরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমনিরহাট জেলা এ প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটিই জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমনিরহাট জেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ হামিদুর রহমান।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমনিরহাট জেলা শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও লালমনিরহাটের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমনিরহাট জেলা শাখার সদস্য সচিব মোঃ হামিদুর রহমান পাঠকৃর্ত প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা গেছে, সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ, আপনারা অবগত আছেন, গত ৫ই আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থেকে লালমনিরহাট জেলার ফ্যাসিজমের সকল চিহ্ন মুছে ফেলা হয়।
স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন এই মুরালটি স্বাধীন বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস বহন করে না।
প্রথম বাকশাল প্রতিষ্ঠাকারী স্বৈরাচার শেখ মুজিবুর রহমানকে অতিরঞ্জিত উপস্থাপন, ইতিহাস বিকৃতি ও ফ্যাসিস্টের ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করার কারণে এর আগেও ১৬ই ডিসেম্বর জেলা প্রশাসন উক্ত ম্যুরাল ঢেকে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে। কিন্তু এর আগে তা নিয়ে কোনো নিউজ করা হয়নি।
বারবার একই ব্যক্তিকে হাইলাইট করা আসলে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাসে সকল স্টেকহোল্ডারদেরকে এড়িয়ে যাওয়ার পায়তারা।
তাই সরকারি প্রোগ্রামে উক্ত ম্যুরালটি ঢেকে দেয়া হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫২, ৭১ সকল সত্য ইতিহাস অক্ষুন্ন রেখে কিছু অংশ ঢেকে দেয়ার কথা বলা হয়েছে, সকল ইতিহাস কে বজায় রেখে অতিরঞ্জিত অংশ ঢাকার নির্দেশনা ছিল।
প্রশাসনের কাছে ম্যুরাল অপসারণ বা এ ধরণের কোনো নির্দেশনা না থাকায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনার ক্ষতি এড়াতে প্রশাসন শুধু স্বৈরাচারের চিহ্ন ঢেকে দেয়ার নির্দেশ দেয়।
এরপরে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সম্পূর্ণ দেয়াল ঢেকে দেয় যা অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
কিন্তু কিছু স্বৈরাচারের দোসর তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশ, স্বার্থোদ্ধার ও বর্তমান সরকারের কার্যক্রমকে বিতর্কিত করার প্রয়াসে এবং আওয়ামী লীগ কে পুনর্বাসনের স্বার্থে জেলা প্রশাসনের কার্যক্রমকে ভুলভাবে প্রচার করতে থাকে এবং বিদ্বেশবশত মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।
আমরা এ ধরণের সরকার বিদ্বেষী ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পিত কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানাই এবং সাংবাদিক ভাইদের অনুরোধ জানাই যেন, ব্যক্তিগত আক্রোশ, ক্রোমের বিষয়কে কেন্দ্র করে কোন মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপন না করেন।
এবং এই ম্যুরালটি ঢেকে দেয়া সম্পর্কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন অবগত ছিল না ও জেলা প্রশাসনের কাছে এমন কোনো দাবিও উত্থাপন করা হয়নি।
তবে স্বৈরাচারের সকল চিহ্ন ও ম্যুরাল অপসারণ ছাত্র জনতার দাবি ও গণআকাঙ্খা।
বৈষম্য বিরেধী ছাত্র আন্দোলন লালমনিরহাটের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে এই ম্যুরালটির ব্যাপারে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধান্তসহ স্বৈরাচারের সকল ম্যুরাল অপসারণের ও যেকোনো ধরণের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানাই। ধন্যবাদ।