আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘ চার মাস পর দেশে ফিরেছেন ভারতের জেলে বন্দি থাকা ২৫জন বাংলাদেশী। ভ্রমণ ভিসায় ভারতে গিয়ে নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশটিতে আটকা পড়েন তারা। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল দুপুরে চ্যাংড়াবান্ধা-বুড়িমারী চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে ফেরেন।
বুড়িমারী চেকপোস্টে আটক বাংলাদেশীদের গ্রহণ করতে যাওয়া রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি ও সংগঠক নাহিদ হাসান নলেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৩ মে দেশে ফেরার সময় ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ভারতে যাওয়া ২৬জন বাংলাদেশীকে আটক করে ভারতের ধুবড়ি জেলা পুলিশ। এদের একজন ভারতে কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রায় চার মাস কারাভোগের পর গত ২৯ আগস্ট বাকি ২৫জনের মুক্তির আদেশ দেন ভারতের ধুবড়ি আদালত। তাদের সবার বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায়।
নাহিদ হাসান নলেজ জানান, বৈধ ভিসায় ভারতে গিয়ে করোনাকালে আইনের বেড়াজালে আটক ২৫জন বাংলাদেশী প্রায় চার মাস ভারতের কারাগারে আটক ছিলেন। আদালতের আদেশে কারামুক্ত হয়ে গতকাল দেশে ফিরেছেন তারা।
নাহিদ হাসান আরও জানান, ভারতের হাইকোর্টের আইনজীবী অসীম দাস গুপ্ত এবং ধুবড়ি আদালতের আইনজীবী রাজস্বী দাস গুপ্ত আটক বাংলাদেশীদের পক্ষে আইনি লড়াই করেছেন। মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশীদের স্বজনদের মধ্যে আটক হানিফ মিয়া ও মানিক মিয়ার বাবা লাল মিয়া, আমিনুল ইসলামের ছোট ভাই মমিনুলসহ রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সদস্যরা বুড়িমারী চেকপোস্টে কারামুক্ত বাংলাদেশীদের গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন সময় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ২৬জন বাংলাদেশী ভারতে যান। বৈধ পাসপোর্ট ও ভ্রমণ ভিসা থাকলেও ভারতে দ্বিতীয় ধাপের লকডাউন চলার মধ্যে গত ২ মে ওই ২৬ বাংলাদেশী দুটি মিনিবাসে আসামের জোরহাট জেলা থেকে দেশে ফেরার উদ্দেশে রওনা হন। পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা ছিল তাদের। ভারতে জেলে ও খামারকর্মী হিসেবে কাজ করা এসব বাংলাদেশীকে পরদিন ৩ মে সকালে বাহালপুর এলাকা থেকে আটক করে আসামের ধুবড়ি জেলা পুলিশ। করোনা পরীক্ষার পর তাদের পাঠানো হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে। গত ৫ মে ওই ২৬জন বাংলাদেশীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং ফরেনার্স (সংশোধিত) অ্যাক্ট, ২০০৪ এবং পাসপোর্ট অ্যাক্ট, ১৯৬৭-এর ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দেশটির পুলিশ।
বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে ২৫জন বাংলাদেশী নাগরিককে ফেরত নেয়া হয়। এ সময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপস্থিত ছিলেন। পরে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : অধ্যক্ষ মোঃ রবিউল ইসলাম মানিক
সম্পাদক : মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ
প্রকাশক : মোঃ রমজান আলী
নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ হেলাল হোসেন কবির
Copyright © 2024 আলোর মনি. All rights reserved.