শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে পুঁইশাক চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকেরা লালমনিরহাট সদর উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ ব্যবস্থাপনা কমিটি নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! লালমনিরহাটে করলায় লাভবান কৃষক লালমনিরহাটে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ক্রেস্ট ও সনদপত্র পেয়েছে মারিহা ও মাইশা দুই বোন লালমনিরহাটে কৃষকরা পাট শাক চাষে ঝুঁকছেন লালমনিরহাটে বরবটি চাষে এখন ব্যস্ত কৃষকেরা থানার সেবা কার্যক্রম আরও জনমূখী ও প্রযুক্তি নির্ভর করা হবে-লালমনিরহাটে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব লালমনিরহাটে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে লেবুর চাষ! লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ-এর সভাপতি পদে চেয়ার মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নলিনী চন্দ্র বর্মন লালমনিরহাটে রসালো লিচু এখন লাল রঙে রাঙাচ্ছে!

লালমনিরহাটের ঐতিহ্যবাহী বটগাছ

বিশাল আকৃতির এ গাছটি একটি বটগাছ। লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ভাটিবাড়ী গ্রামের ভাটিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বটগাছটি প্রকৃতির আপন খেয়ালে বেড়ে উঠে আজ ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শুধু ভাটিবাড়ীর মানুষের কাছে নয়, এই বটগাছটি এখন বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা লালমনিরহাট জেলায়। গাছের মূল থেকে ডালপালাকে আলাদা করে দেখতে চাইলে রীতিমত ভাবতে হয়। বটগাছটির ব্যতিক্রমী অনেককে আকৃষ্ট করে। শত ব্যস্ততার মধ্যে একটু সময় করে ছুটে গিয়ে চোখ জুড়ানোর লোভ সামলাতে পারেন না অনেকেই। ব্যতিক্রমী এই বটগাছ পশ্চাৎপদ লালমনিরহাট সদর উপজেলাকে অনেকের কাছে আজ পরিচিত করে তুলেছে। সেই বিশাল আকৃতির বটগাছটি দাঁড়িয়ে আছে প্রায় অনেকটা জায়গা জুড়ে। উচ্চতা আনুমানিক ৮০-৯০ ফুট। আর পরিধি ২০ ফুটের কম নয়। মুল গাছের মোটা মোটা ডালপালা বেড় হয়েছে। বয়সের ভারে গাছের ডালপালা গুলো নুয়ে পড়লেও গাছটির শীর্ষভাগে সবুজের সমারোহ, সব সময় ছায়া দিয়ে থাকে। স্থানীয়দের কাছে এই বটগাছের ইতিহাস অনেক পুরোনো। অনেকেই গাছটির বয়স অনুমান করতে চেষ্টা করেন। কেউ বলেন ৭৪বছর, আবার কেউ বলেন ৭৫বছর। তবে এলাকার বয়োজেষ্ঠ্যরাও গাছটির বয়স কত তার সঠিক ভাবে বলতে পারেন না।

 

তাঁরা বলেন, কোন সময় বটগাছটি লাগানো হয়েছে তা জানা নেই। তবে ভাটিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫১ সালে স্থাপিত হয়েছে। প্রাচীন এই গাছটি সম্পর্কে প্রবীণরা জেনেছেন তাঁদের বাপ-দাদার কাছ থেকে।

 

বটগাছটির বয়স অনুমান করা যায়, গাছটির বয়স ৭৪-৭৫বছরের কম নয়।

 

তবে বর্তমানে বটগাছটির গোড়া ইট, বালি, সিমেন্ট দিয়ে পাকা করা হয়েছে। এতে করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গরমে বসে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।

 

কিভাবে যাওয়া যায়: গাড়ীয়াল ভাইয়ের গরু/মহিষের গাড়ি এক সময়ের একমাত্র পথ চলার বাহন হলেও এখন আর দেখতে পাওয়া যায় না। ঢাকা থেকে সড়ক পথে বিলাসবহুল বাস ও ট্রেন যোগে সরাসরি লালমনিরহাট সদর উপজেলায় খুব সহজেই পৌছানো যায়। সড়ক পথে ঢাকা থেকে লালমনিরহাটের দুরত্ব প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার। বিমানপথে সৈয়দপুরে পৌছে সড়ক পথে লালমনিরহাট নির্বিঘ্নে পৌছানো যায়। লালমনিরহাট সদর উপজেলায় অধিকাংশ মূল সড়ক পাকা হলেও আনাচে কানাচে কাচা সড়ক পরিলক্ষিত হয়। বেলে মাটি হওয়ায় বর্ষার মৌসুমেও কাচা সড়ক চলাচলের উপযোগী থাকে। লালমনিরহাট জেলা শহর হয়ে সাপটানা বাজার দিয়ে রিক্সা, অটো, ইজিবাইক দিয়ে এই ৭৪-৭৫বছরের ঐতিহ্যবাহী বট গাছ পরিদর্শন করা যাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone