মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটে পোল্ট্রিফার্ম করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলেছেন। লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের খোলাহাটি কালমাটি গ্রামের মৃত আঃ ওয়াহেদের ছেলে মাওঃ কাজী আমিনুর রহমান। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিগত ২০১৮ইং সাল থেকে নিজস্ব জমির উপর মুরগী ফার্ম গড়ে তোলেন। প্রতি ১মাসে ১হাজার মুরগীর বাচ্চা পালন করতে মোট ১লাখ ৭০হাজার টাকা ব্যয় হয়। ৩০-৩৪দিনে মুরগী খাওয়ার উপযোগী হওয়ায় এই পোল্ট্রি ফার্মের মালিক পাইকারী ১শত ১২টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি করে দেন। এতে প্রায় ২লাখ ৫০হাজার টাকা বিক্রি করে প্রায় ৮০হাজার টাকা লাভ করেন। ১২মাসে গড়ে প্রায় ১০লাখ টাকার মুখ দেখেন। এমন আয় লক্ষ্য করে তার আপন ভাতিজা মোঃ মিজানুর মিজান পোল্ট্রি ফার্ম নির্মাণ করে। মুরগী পালন করে। তিনি ও স্বাবলম্বী হয়ে উঠেন। কিন্তু জমি-জমার জের ধরে ভাতিজা মিজানুর আপন চাচা আমিনুর রহমানকে হেনস্তা করার জন্য সাজানো নাটক সাজিয়ে ফার্মে বিষ প্রয়োগ করে কাজী আমিনুর রহমানকে দোষারোপ করে আসছেন। এমন কি একাধিক মামলার আসামী করেছেন তাকে। সম্প্রতি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমিনুর রহমানের ফার্মের প্রায় ২শত ৫০টি মুরগী মারা গেছে এবং মিজান পোল্ট্রি ফার্মের ১শত ৪৭টি মুরগি মারা গেছে। এলাকাবাসী জানান, ভাইরাসে মুরগি মারা গেলেও মিজান নাটক সাজিয়ে বিষ প্রয়োগে মুরগি মারা গেছে বলে দাবি তুলছেন। যে দাবির কোন ভিত্তি নেই। লালমনিরহাট প্রাণিসম্পদ কার্যালয় জানান, ১শত ৯৯টি মুরগির খামার রয়েছে। খাদ্যের দাম বেশী ও প্রয়োজনীয় পৃষ্টপোষকতার অভাবে প্রায় ১শতটি মুরগীর খামার বন্ধ হয়ে গেছে।