লালমনিরহাট: সেতুর দুই পাড়ের রাস্তার মাঝামাঝি নতুন করে ঢালাই করা দুটি পিলার নির্মাণ করায় পথচারীরা ঝুঁকিতে পড়েছে। ছবি: সাপ্তাহিক আলোর মনি
ফলোআপ:
মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ: আজ থেকে ৮২দিন পূর্বে সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে “লালমনিরহাটে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলাচল” শীর্ষক একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর যেন টনক নরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। শুরু হয় ভেঙ্গে যাওয়া অংশের পূর্ণঢালাইয়ের কাজ। এতে করে জনমনে স্বস্তি এলেও এখন আর সেই স্বস্তি নেই। স্বস্তি যেন ফিকে হয়ে গেছে। কারণ সেতুর দুই পাড়ের রাস্তার মাঝামাঝি নতুন করে ঢালাই করা দুটি পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। দিনের আলোয় তা দেখা গেলেও রাতের আধারে তা দেখা যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই সেই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু আবারও ঝুঁকিতে। যেন মৃত্যু হাতছানি দিয়ে ডাকছে। একটু অমনোযোগি হলেই দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ নিশ্চিত।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ভাটিবাড়ী-কাকেয়া টেপা-লালমনিরহাট পৌরসভার পূর্ব সাপটানা (নয়ারহাট/মাটিয়া মসজিদ) সড়কের দলবাড়ীর দোলার সেতুটি সংস্কার করার পর সেতুর দুই পাড়ের রাস্তার মাঝামাঝি নতুন করে ঢালাই করা দুটি পিলার নির্মাণ করায় জটিল আকার ধারণ করেছে। নতুন করে তৈরি হয়েছে মরণ ফাঁদ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভারি যানবাহন যেন উক্ত সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে না পারে, সেই কারনে দুটি পিলার নির্মাণ করে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অতি দ্রুত সেতুর দুই দিকের পিলার দুটি অপসারণ করা না হলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন, কুলাঘাট ইউনিয়ন ও লালমনিরহাট পৌরসভার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে হবে।
উক্ত সড়কের দলবাড়ীর দোলার ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়ে বিদ্যুৎ এর লাইন ও তার থাকলেও রোড লাইট নেই।
লালমনিরহাট: ভেঙ্গে যাওয়া সেই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। ছবি: সাপ্তাহিক আলোর মনি
উল্লেখ্য, সাপ্তাহিক আলোর মনি অনলাইন পত্রিকায় “লালমনিরহাটে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে চলাচল”, সোমবার, ২৫ মে, ২০২০ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।