তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম এর ১১টি স্থানে জনতার সমাবেশ শুরু হয়েছে।
“জাগো বাহে-তিস্তা বাঁচাই” স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে তিস্তা নদীর দু’পাড়ে, সেখানে কয়েক লক্ষ মানুষ অংশ নিয়েছে এ ৪৮ ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচিতে।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-জেপি, বিপ্লবী ওয়ারকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীবৃন্দও অংশ নিয়েছে।
সকাল থেকে দুপুরের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত “জাগো বাহে-তিস্তা বাঁচাই” স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত তিস্তা নদীর দু’পাড়। শুকিয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর জেগে ওঠা ধূ ধূ বালু চরে জড়ো হয়েছেন দেশের উত্তরাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ। সড়ক ও নৌপথে জনতার সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা রেলসেতু সংলগ্ন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে এ জনতার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার ১১টি স্থানে একযোগে এ ২দিন ৪৮ ঘন্টাব্যাপী জনতার সমাবেশ কর্মসূচি চলছে। তিস্তা নদীর ২শত ৪২কিলোমিটার বিস্তীর্ণ অববাহিকা জুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সমাবেশ।
কর্মসূচি- সেমিনার, জাতীয় সঙ্গীত, থিম সং, দাবীনামা, আলোচনা, হাডুডু, চকোরচাল, চেঙ্গুপেন্টি, বাটুল ছোঁড়া, দাঁড়িয়াবান্দা খেলা, নাটক, ভাওয়াইয়া গান, পালাগান, জারিগান অনুষ্ঠান।
তিস্তা নদীর মাঝখানে রং-বেরঙের তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে। প্ল্যাকার্ড ও ব্যানারে তিস্তা নদী বাঁচানোর দাবি জানানো হচ্ছে।
দুপুর ২টায় তিস্তাপাড়ের জনতার সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের অন্যান্য স্থানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত থাকবেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন বীর বিক্রম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বরকত উল্লাহ বুলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-জেপি সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ারকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।