তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে পূর্বঘোষিত ২দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)।
“জাগো বাহে-তিস্তা বাঁচাই” স্লোগান নিয়ে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বিএনপি, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-জেপি, বিপ্লবী ওয়ারকার্স পার্টি’সহ উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সমর্থকরা।
এ কর্মসূচির লক্ষ্য তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প অবিলম্বে বাস্তবায়ন এবং নদীকে পুনরুদ্ধার করা, যা এই অঞ্চলের কোটি মানুষের জীবনের সাথে যুক্ত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রংপুর বিভাগের ৫টি জেলা ও ১১টি স্থানে “জাগো বাহে-তিস্তা বাঁচাই” স্লোগানে ৪৮ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে লোকজন জমায়েত হয়েছেন। এ কর্মসূচি চলবে সোমবার ও মঙ্গলবার। এ কর্মসূচিকে ঘিরে তিস্তা নদীর দু’পাড়ের লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশ নেয। কর্মসূচির অংশ হিসেবে লালমনিরহাটের ৪টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম হবে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা রেলসেতু সংলগ্ন এলাকায় বিকেলে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামীকাল মঙ্গলবার সমাপনী দিনে বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া দেশের উত্তরের ৫ জেলার বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের উপস্থিতি থাকবে এ সমাবেশে। পাশাপাশি মিত্র রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেবেন।
কর্মসূচি চলাকালে বড় প্যান্ডেল, মঞ্চ এবং অসংখ্য তাবু তৈরি করা হয়েছে। রাতের সময় আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হাজার হাজার মশাল জ্বালানো হবে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে আছেন তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
উদ্যোক্তারা জানান, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা অভিমুখে পদযাত্রা এবং নদীর দুই তীরে ২৩০ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’ কমিটি।
পদযাত্রার বিভিন্ন স্থানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।