লালমনিরহাট শহরে বিশ্বনন্দিত ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারি’র তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে মুঠোফোন ও সোনার অলংকার চুরির অভিযোগে আটক ২২ নারীসহ ২৩জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উক্ত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে তাঁদের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোঃ আমিরুল ইসলাম।
এসব চুরির ঘটনায় শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট সদর থানায় একটি মামলা করেন শহরের বিডিআর ক্যান্টিন মোড় এলাকার মোঃ আলম (৩৪)। এছাড়া শনিবার থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত মাহফিল থেকে চুরি বা খোয়া যাওয়ার ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় ৪৮টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। গ্রেফতার ২৩ জনের মধ্যে ১১জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ১১জন হবিগঞ্জের বাসিন্দা। অন্য যুবকের বাড়ি রংপুরে।
জানতে চাইলে বাদী মোঃ আলম বলেন, তাঁর স্ত্রী ডলি বেগমসহ অন্যদের কাছ থেকে অন্তত ৩০টি সোনার চেইন চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। তাঁদের সবার অনুরোধে বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন তিনি। এ মামলায় অন্য ভুক্তভোগীদের সাক্ষী করা হয়েছে। আর আসামি হিসেবে আটক ২২ নারীসহ মোট ২৩জনের নাম উল্লেখ আছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) লালমনিরহাট শহরের রেলওয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ড. মিজানুর রহমান আজহারি’র তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শহরের লালমনিরহাট স্টেডিয়ামে নারীদের জন্য তাফসির শোনার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে সমবেত নারীদের ৩০টি সোনার চেইন ও ২টি মুঠোফোন চুরির অভিযোগ ওঠে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ নুরনবী বলেন, মিজানুর রহমান আজহারি’র তাফসীরুল কুরআন মাহফিল ঘিরে লালমনিরহাট শহরের কয়েকটি স্থানে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এসব স্থান থেকে চুরির অভিযোগে ২২ নারী ও এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। তাঁরা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে মনে হচ্ছে।
মাহফিলের আয়োজক ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাটের চেয়ারম্যান খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী জানান, তাফসীরুল কুরআন মাহফিল ঘিরে এক বা একাধিক চোর চক্র সক্রিয় ছিল। তারা ভিড়ের সুযোগে চুরিসহ অন্যান্য অপকর্মে লিপ্ত হয়। লালমনিরহাটে যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের সবাই অন্য এলাকার মানুষ।