লালমনিরহাট শহরে বিশ্বনন্দিত ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারি’র তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় সন্দেহভাজন ২৩জন নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ২২জন নারী এবং ১জন পুরুষ। তাঁদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত লালমনিরহাট সদর থানায় মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার চুরি ও খোয়ানোর ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা ৮টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, জিডির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নুরনবী বলেন, যে তথ্য পাচ্ছি তাতে মুঠোফোন হারানো বা চুরির অনেক ঘটনা ঘটেছে। স্টেডিয়ামে নারীদের ওখানে মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, শহরের ৪টি পৃথক জায়গায় আজহারির মাহফিল উপলক্ষে কয়েক লাখ লোকের সমাগম ঘটেছে। পুলিশের তৎপরতা ছিল। এরপরও ভিড়ের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) লালমনিরহাটের রেলওয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাফসীরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাট নামের একটি সংগঠন। মাহফিলের সময় দেওয়া ছিল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দুপুর ২টার দিকে বক্তব্য শুরু করেন মাহফিলের প্রধান মুফাসসির ড. মিজানুর রহমান আজহারি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়াও আরও ৩টি জায়গায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মাহফিল শোনানোর/দেখার ব্যবস্থা রাখা হয়। এর মধ্যে নারীদের জন্য লালমনিরহাট স্টেডিয়াম, লালমনিরহাট কালেক্টরেট মাঠ ও রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাব মাঠে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে। এতে বিভিন্ন জায়গায় জিনিসপত্র চুরি ও খোয়ানোর ঘটনা ঘটে।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভিড়ের মধ্যে নিজের মুঠোফোন খোয়ান লালমনিরহাট সদর উপজেলার গবাই গ্রামের মোঃ রহিম বাদশা ও কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার টুপামারি গ্রামের মফিজুল হক। তাঁরা জানান, মুঠোফোন হারানোর ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন।
মাহফিলের আয়োজক ইসলামিক সোসাইটি লালমনিরহাটের চেয়ারম্যান খালিদ সাইফুল্লাহ বকসী বলেন, মাহফিল ঘিরে এক বা একাধিক চক্র গড়ে উঠেছে, যারা ভিড়ের সুযোগে চুরিসহ অপকর্মে লিপ্ত হয়। যাদের অধিকাংশ লালমনিরহাটের বাইরের জেলা থেকে এসেছে। লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে বলে শুনেছেন।