শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাছুম মিঞা-এঁর ইন্তেকাল লালমনিরহাটের নদীরগুলোর চরে চাষ হচ্ছে বোরো ধান লালমনিরহাটের দহগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দিলো বিজিবি, সীমান্তে টহল জোরদার লালমনিরহাটের চাষিরা মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকে পড়েছেন নিধন বন্ধ থাকায় লালমনিরহাট শহরে বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে তিস্তা নদী ও সম্ভাবনার লালমনিরহাট লালমনিরহাটে ব্র্যাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট বিজিবি কর্তৃক ১৩লক্ষ টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামালসহ ৫জন আটক লালমনিরহাটে বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক গাঁদা ফুলের চাষ লালমনিরহাটে বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করে প্রত্যাহার হলেন দুই ওসি
লালমনিরহাটের নদীরগুলোর চরে চাষ হচ্ছে বোরো ধান

লালমনিরহাটের নদীরগুলোর চরে চাষ হচ্ছে বোরো ধান

লালমনিরহাট জেলার তিস্তা, ধরলা, রত্নাই, স্বর্ণামতি, শিংগীমারী, সানিয়াজান, ত্রিমোহনী, সাকোয়া, মরাসতি, ধোলাই, গিদারী, ছিনাকাটা নদীগুলোর চরে এখন বোরো ধানের আবাদের ধুম পড়েছে।

 

জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে যেখানে ছিল থৈ থৈ পানি আজ সেখানে পানি শুকিয়ে চর পড়ে গেছে। স্থানীয় কৃষকেরা প্রতি বছরই এখানে বোরো ধান আবাদ করে থাকে।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় কৃষকেরা নদীগুলোর এই চরে বোরোর আবাদ করতে দেখা গেছে। প্রতি বছরই এখান থেকে কৃষকরা প্রচুর পরিমাণ ধান উৎপাদন করে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে কৃষকেরা আবাদ করে থাকে। নদীগুলোর মধ্যে ধানের চাষ এ যেন সৌন্দর্যের অন্য আরেক রূপ।

 

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় ৭২টি চরাঞ্চল রয়েছে। এসব চরের মোট জমির পরিমাণ ২৬হাজার ৬শত ৭৬একর। এর মধ্যে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ২০হাজার ৪শত ৮৬একর। এসব জমি চাষাবাদ করে থাকে ৩১হাজার ৬শত ৩৭টি কৃষি পরিবার। তবে স্থানীয়দের হিসাব বলছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যের দ্বিগুণ জমি চাষ হয়। যার মধ্যে রয়েছে এ চার নদীর জমিও।

 

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নদীতে আনুমানিক ১০হাজার একরেরও বেশি জমিতে বোরো আবাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। এসব জমিতে প্রতি একরে গড়ে দুই টন করে বোরো ধান উৎপাদনের আশা করছেন চাষীরা। এ হিসাব মতে, ১০হাজার একর জমিতে ২হাজার টন ধান উৎপাদন হওয়ার কথা।

 

কোদালখাতা গ্রামের বোরো ধান চাষী মোঃ হাফেজ আলী, মোঃ হান্নান আলী বলেন, নদীর পানি যখন কমে যায়, তখন আমরা নদীর দুই পাড়ের মাটিগুলো সমান করে বোরো ধানের চাষ করি। যা অন্য ধানের আগেই পাকে। এ ধান চাষে পরিশ্রম ও ব্যয় খুবই কম। উৎপাদনও হয় ভালো।

 

ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী বলেন, আমরা জমি দিয়ে নদী বয়ে গেছে। যাতে এলাকার ক্ষুদ্র চাষীরা বোরো ধান চাষ করে। আমাদেরকেও ধানের ভাগ দিয়ে থাকে। এতে জমি তো পতিত থাকছে না, ফসলও ফলছে।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, নদীর বুক জুড়ে বোরো ধান চাষ হয়েছে। যা বাড়তি খাদ্য হিসেবে যোগ হবে। আমাদের সোনার মানুষ, যারা সোনা ফলায় তাদের কাছে আমরা চির কৃতজ্ঞ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone