তিস্তা যেন এখন আর কোন নদী নয়-মরা খাল। ভারতের গজলডোবা নামক স্থানে প্রবেশ মুখে ও লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানিতে ব্যারেজ নির্মাণ করে এ নদীর উচ্ছল দুর্বার গতিকে রোধ করে দেওয়া হয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন ক্যানেলের মাধ্যমে তিস্তার স্রোত ঘুরিয়ে দিয়ে তার বুক থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে পানি নামের জীবন। মরে গেছে তিস্তা। এই নদীর পারে দাঁড়ালে এখন বাতাসে শোনা যায় ক্ষীণকায় তিস্তার দীর্ঘশ্বাস আর গুমড়ে ওঠা কান্নার শব্দ। দীর্ঘ এ তিস্তার বুক জুড়ে শুধুই ধু-ধু বালুচর। খরস্রোতম্বিনী তিস্তা নদীর নাব্যতা এতোটাই হ্রাস পেয়েছে যে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের সেচ কার্যক্রম চালানোই কঠিন হয়ে পড়বে। প্রতিদিনই পানি কমছে। কোথাও সামান্য পানি আবার কোথাও দিগন্ত জোড়া বালুচর। ব্যারেজ থেকে শুরু করে তিস্তার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পানি না থাকায় ভেঙে পড়ছেন ব্যারাজের সুবিধাভুগী কৃষকরা।