লালমনিরহাট সীমান্ত হতে বিজিবি কর্তৃক গত ৭দিনে ৪৪লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল আটক করেছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এরই প্রেক্ষিতে সীমান্তে কঠোর নজরদারী ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে গত ১৯ ডিসেম্বর হতে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭দিনে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর ঝাউরানী, দিঘলটারী, গোড়কমন্ডল, কুলাঘাট বিশেষ ক্যাম্প, রামখানা ও অনন্তপুর বিওপির সীমান্ত হতে ২লক্ষ ৩৪হাজার টাকা মূল্যের ২৫৫বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল, ৫৭বোতল ভারতীয় ইস্কাপ সিরাপ, ১বোতল ভারতীয় মদ ও ৩১কেজি গাজাসহ ২জন আসামী আটক করতে সক্ষম হয়। এছাড়া কুলাঘাট বিশেষ ক্যাম্প ৪০লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ী, থ্রিপিস, প্যান্টের থান কাপড় ও ভারতীয় প্রসাধনী সামগ্রী এবং কাশিপুর ও অনন্তপুর বিওপির সীমান্ত থেকে ১০হাজার টাকা মূল্যের ৭৪.৫কেজি ভারতীয় চিনি, বালারহাট বিওপির সীমান্ত হতে ৫০হাজার টাকা মূল্যের ১টি ভারতীয় গরু, দিঘলটারী ও অনন্তপুর বিওপির সীমান্ত থেকে ১লক্ষ ১হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় জিরা ও ধান আটক করতে সক্ষম হয়েছে। জব্দকৃত মাদক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে এবং অন্যান্য মালামাল কাস্টমসে জমাদানের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা যায়। এছাড়া মাদক পাচারে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের কারণে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) ২জন মাদক চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সীমান্ত দিয়ে যেমন মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন চোরাচালানী মালামাল বাংলাদেশে পাচার হয় তেমনি বাংলাদেশ হতে ধানের বীজ ও ডিজেল ভারতে পাচার হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এ প্রেক্ষিতে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) দৈখাওয়া ও বনচৌকি বিওপির সীমান্ত হতে ভারতে পাচারকালে ৩২হাজার টাকা মূল্যের বাংলাদেশী ধানের বীজ আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শাহ্ মোঃ শাকিল আলম এসপিপি উক্ত মাদকদ্রব্য ও চোরাচালানী মালামাল এবং আসামী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার ও চোরাচালান বন্ধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে আছে এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।