লালমনিরহাটে বাস মিনিবাস শ্রমিকদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় সাংবাদিকের উপর হামলার মুল পরিকল্পনাকারী মাইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে লালমনিরহাট জেলা শহরের হাড়ীভাঙ্গা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার মাইদুল ইসলাম জেলা শহরের হাড়ীভাঙ্গা বদিয়ারটারী এলাকার অছদ্দি ছেলে।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে লালমনিরহাটে বাস মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে সাংবাদিকরা সেখানে দায়িত্ব পালন করতে গেলে মাহফুজার ও বকুল গং এর ভাড়া করা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী মাইদুল ইসলাম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না ও দৈনিক আজকের দর্পণ প্রতিনিধি এস আর শরিফুল ইসলাম রতন সাংবাদিকের উপর হামলা চালায়। এ সময় শ্রমিকদল নেতা ওমর ফারুক বাবলু গুরত্বর আহত হয়।
এ ঘটনায সাংবাদিক এস আর শরিফুল ইসরাম রতন বাদি হয়ে মাইদুলকে প্রধান করে চারজনের নাম উল্লেখ করে ওইদিনই লালমনিরহাট সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা শহরের হাড়ীভাঙ্গা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার মুল আসামী মাইদুলকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য যে, আওয়ামী সরকার পতনের পর বিএনপি সমর্থিত লালমনিরহাট জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব নিয়ে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ সংগঠনের পুরনো রেজিস্ট্রেশন নাম্বার (২৪৯৩) বহাল রাখার দাবি এবং বহিরাগত শ্রমিক ও দ্বৈত শ্রমিক দ্বারা প্রচলিত শ্রম আইন লঙ্ঘন করে শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন রেজিষ্ট্রেশন নেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি ওমর ফারুক বাবলু। অপর পক্ষ মাহফুজার ও বকুল ড্রাইভারগংরা আওয়ামী দোসরদের সাথে নিয়ে শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন রেজিষ্ট্রেশন নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রাখে। এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ ও সংঘাতের সৃষ্টি এবং পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।