শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে বিশ্ব শান্তি কল্পে ১৬ প্রহর ব্যাপী অখন্ড শ্রীশ্রী হরিনাম সংকীর্তন ও অষ্টকালীন লীলা কীর্তন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ৪র্থ উপজেলা স্কাউট সমাবেশ, মহাতাঁবু জলতা ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত সরকারের নতজানু স্বভাবের কারণে ভারত শুধু নিয়েছে, বাংলাদেশকে কিছুই দেয়নি-লালমনিরহাটে মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম লালমনিরহাটে ইটভাটায় যাচ্ছে ফসলি জমির মাটি! লালমনিরহাটের সাকোয়া ব্লকে সমলয় পদ্ধতিতে ব্রিধান-৯২ ধানের বীজতলা তৈরি হচ্ছে! লালমনিরহাটের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও জনসংযোগ মেলার শুভ উদ্বোধন, কুইজ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন খেজুর রসের কদর বাড়ছে! লালমনিরহাটে বিজয় দিবস রোলবল, স্পিড স্কেটিং ও রোপ স্কিপিং প্রতিযোগিতা-২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে ৫নং ওয়ার্ড পৌর বিএনপি’র পুনর্গঠন উপলক্ষ্যে যৌথ কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত আগাম জাতের কেশর চাষ করছে লালমনিরহাটের কৃষকেরা
ধান ও ভুট্টা ছেড়ে লালমনিরহাটে অবাধে বিষপাতা তথা তামাক পাতার চাষ!

ধান ও ভুট্টা ছেড়ে লালমনিরহাটে অবাধে বিষপাতা তথা তামাক পাতার চাষ!

লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অবাধে বিষপাতা তথা তামাক পাতার আবাদ হচ্ছে। এসব জমিতে আগে ধান ও ভুট্টা চাষ হতো। সিগারেট উৎপাদক কোম্পানীগুলোর প্রলোভনে পড়ে কৃষকেরা তামাক চাষে ঝুঁকছে। অথচ তামাক চাষ করতে গিয়ে জমির উর্বরা শক্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কৃষক ও তার পরিবারের সদস্যরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম) পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে ব্যাপক হারে তামাকের চাষ হচ্ছে। তিস্তা, ধরলা, রত্মাই নদীর তীর ঘেঁষা চরাঞ্চলে বর্ষাকালে পলি পড়ে। উর্বর এসব জমিতে আগে মসুর, মাষকলাই, ধান, ভুট্টা, বাদাম, কাউন, গম, আলু, আখের চাষ হতো। কিন্তু অনেক জায়গায় কয়েক বছর ধরে তামাকের চাষ হচ্ছে।

 

বহুজাতিক ও দেশীয় টোব্যাকো কোম্পানীগুলোর প্রলোভনে পড়ে কৃষকেরা এই বিষপাতা তথা তামাক পাতার চাষে আগ্রহী হচ্ছে। কয়েকটি বিডি, সিগারেট ও জর্দা এবং গুল কোম্পানী তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের অধিক মুনাফার পাশাপাশি সার, বীজ ও সেচের জন্য নগদ টাকা মূলধন (ঋণ) হিসেবে দিচ্ছে। নানা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় কৃষকেরাও তামাক চাষে ঝুঁকছে।

 

কৃষকেরা জানায়, তামাক চাষে প্রতি শতাংশ জমি বাবদ ৫কেজি সার ও প্রয়োজন মতো তামাক বীজ সরবরাহ করছে টোব্যাকো কোম্পানীগুলো। এ থেকে শতাংশ প্রতি প্রায় ১হাজার টাকার তামাক উৎপাদন করা যায়। কম পরিশ্রমে অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। জমি ও শরীরের ক্ষতি হলেও অধিক লাভের জন্যই তারা তামাক চাষ করছেন।

 

এদিকে কোম্পানীগুলো তামাক চাষ বৃদ্ধিতে বীজ ও সার সরবরাহ করলেও স্বাস্থ্যহানি রোধে অ্যাপ্রোন বা মাস্ক সরবরাহ করছে না।

 

কৃষিবিদরা বলছেন, তামাকগাছ জমি থেকে বেশি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করে। এতে মাটি দ্রুত উর্বররা শক্তি হারায়। পরবর্তী সময়ে ওই জমিতে অন্য ফসল আবাদ করতে বেশি সার দিতে হয়। তামাকে নিকোটিন থাকায় এটি চাষে শারীরিকভাবেও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

চিকিৎসকরা বলছেন, তামাক চাষ, তামাক পাতা শুকানো থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাত করার সঙ্গে যুক্ত থাকলে বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এমনকি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন, সরকারি কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় তামাক চাষের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া যাচ্ছে না। তবে এ ব্যাপারে কৃষকদের নিরুৎসাহী করা হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone