শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ছিলেন লালমনিরহাটের সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র জুজুর ভয় লালমনিরহাটে ইরি-বোরো ধানের আদর্শ বীজতলা তৈরীতে ব্যস্ত কৃষক! লালমনিরহাটে শীতকালীন শাক সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকেরা লালমনিরহাটে ট্রাফিক সচেতনতামূলক প্রচারণা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে তিন সাংবাদিককে হেনস্তা ও অশালীন আচরণ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি! লালমনিরহাটে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের মোগলহাট সড়ক পুর্ণ নির্মাণ কাজে গতিহীন; সাধারণ মানুষের ভোগান্তি!
বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ছিলেন লালমনিরহাটের সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র

বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ছিলেন লালমনিরহাটের সাংবাদিকতার উজ্জ্বল নক্ষত্র

:: মাসুদ রানা রাশেদ :: মোফাখখারুল ইসলাম মজনু। দৈনিক সবুজ বাংলা পত্রিকার প্রয়াত লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি। আমৃত্যু গণমানুষের প্রতিনিধি হিসেবে জনকল্যাণমুখী সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। উত্তর জনপদের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে হয়ে উঠেছিলেন সর্ব সাধারণের মধ্য মণি। একাধারে বলা চলে, লালমনিরহাটের সংবাদ সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু। সেই নক্ষত্রের বিদায়ে শোকের সাগরে নিমজ্জিত এখন লালমনিরহাটসহ গোটা জেলা।

 

খবরের ফেরিওয়ালা জীবন। খবরের পেছনের খবর সংগ্রহ করা ছিল যাঁর কাজ, তিনি নিজেই এখন হয়ে উঠেন খবরের বিষয়বস্তু। তাঁর সহকর্মীরা এখন তাঁকে নিয়েই মৃত্যুর খবর লিখেছেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হচ্ছেন অনেকেই। অফলাইনে, অনলাইনে সহপাঠী, সহকর্মী, অগ্রজ, অনুজ, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহীরা তাঁকে পরম মমতায় ও ভালোবাসায় বিদায় জানিয়েছেন। এমন হৃদয় বিদারক বিদায় দৃশ্য খুব বেশি দেখা যায় না। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ জনিত কারণে মাত্র ৬২বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেছেন বিশিষ্ট বর্ষিয়ান সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু। মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ভাইয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সখ্যতা রয়েছে দীর্ঘ দিনের। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) লালমনিরহাটের সাপটানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে নামাজের জানাজার নামাজ পড়তে গিয়ে দেখেছি, সহকর্মী ও সাধারণ মানুষের এক হৃদয় বিদারক কান্না। আমাদের জাতির বিবেক সাংবাদিকদের জন্যও মানুষ যে কাঁদে- যা কমই দেখা যায়। আমাদের এ পৃথিবীতে সাধারণত দুই ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ জীবন গড়ে তোলে নিজের বা পরিবারকে কেন্দ্র করে। আরেক ধরনের মানুষ দেশ ও সমাজের কল্যাণে নিজেকে অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়। সাংবাদিকরা মানুষকে ভালোবাসা বা মানুষের জন্য কাজ করে যায় নিরন্তর ভাবে তিনি ছিলেন তাদেরই একজন। মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ভাই তেমনই একজন ছিলেন। তিনি আপামর সর্ব স্তরের মানুষের হৃদয় ও মনে দাগ কেটে গেছেন। শুধু নিজের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী নয়; যেখানে যেখানে তিনি পা রেখেছিলেন সেখানেই তৈরি করেছেন নিজের ভালোবাসার আলাদা এক জগৎ। সব ঘরানার মানুষের কাছে সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ভাই সমান ভাবে জনপ্রিয়। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করতেন। মোফাখখারুল ইসলাম মজনু ভাইয়ের মৃত্যুর পর তা প্রমাণিত হয়েছে।

 

উল্লেখ্য যে, আশির দশকে রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক দাবানল পত্রিকা দিয়ে মোফাখখারুল ইসলাম মজনু-এঁর সাংবাদিকতা শুরু। দীর্ঘ দিন দৈনিক দাবানলের লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা এবং দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকায় কাজ করেন। তাঁর টেলিভিশন সাংবাদিকতা শুরু সিএসবি টিভিতে। এরপর দীর্ঘ দিন সময় টিভিতে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ দৈনিক সবুজ বাংলা নামের ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিক পত্রিকায় কাজ করতেন তিনি। প্রবীণ সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু প্রেসক্লাব লালমনিরহাট এঁর পরপর দুবারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। একজন সহজ সরল ও সাদা মনের মানুষ হিসেবে মোফাখখারুল ইসলাম মজনু লালমনিরহাটের মানুষের মাঝে চিরদিন বেচে থাকবেন।

[লেখক: সাংবাদিক ও সম্পাদক, সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকা, লালমনিরহাট।]

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone