লালমনিরহাট জেলা শহরের লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন রিক্সা স্ট্যান্ড চত্ত্বরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। স্বাধীনতার ৫৩বছর পেরিয়ে গেলেও এখানে নির্মাণ করা হয়নি কোন স্মৃতিচিহ্ন কিংবা স্থানটিকে চিহ্নিত করে সেখানে দেয়া হয়নি কোন সাইন বোড। নতুন প্রজন্ম জানেনা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মুহুর্তে লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের রিক্সা স্টান্ডে কয়েক’শত নিরীহ বাঙ্গালীকে জড়ো করে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হয়েছিলো। এই চত্ত্বরে মহান শহীদদের রক্তের বন্যা বয়েছিল সেদিন।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সবে মাত্র প্রস্তুতি পর্ব তখন চলছিলো। মুক্তিকামী মানুষ তখনো পুরোপুরি সংগঠিত হতে পারেনি। বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে শুধু প্রতিরোধের প্রস্তুতি চলছিলো। ঠিক এমন সময়ে অবাঙ্গালী কর্তৃক লালমনিরহাট শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে ৩শত নিরীহ মানুষকে ধরে এনে উক্ত স্থানে ব্রাশ ফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যা করে। বিভিষীকাময় এই ঘটনার পর গোটা এলাকার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের পর কেটে গেছে ৫৩টি বছর। কিন্তু নির্মম পরিহাস এই যে মহান স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন উৎসর্গকারী গুটি কয়েক ভাগ্যবানের নাম ছাড়া অদ্যাবধি প্রকৃত তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি এমনকি লালমনিরহাট জেলার সবচেয়ে বড় গণহত্যার ঘটনা এবং এই স্থানটিকে চিহ্নিত পর্যন্ত করা হয়নি। নতুন প্রজন্মের তরুণেরা লালমনিরহাট রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমির স্মৃতিচিহ্ন ঘেরা দেখতে চায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আশুদৃষ্টি কামনা করছেন।