অযত্ন, অবহেলা আর উদাসীনতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হওয়া মানুষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমিগুলো নিশ্চিহ্ন হতে চলছে। স্বাধীনতার ৪৯বছর পরেও একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবরের সংখ্যা নির্দিষ্ট করা যায়নি। অরক্ষিত রয়ে গেছে লালমনিরহাটের অসংখ্য বধ্যভূমি ও গণকবর। মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার নীরব সাক্ষী এসব বধ্যভূমি ও গণকবর যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। ছোট-বড় অনেক বধ্যভূমি থাকলেও এর মধ্যে কয়েকটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হলেও যত্নের অভাবে মলিন হয়ে গেছে। সংরক্ষণ ও স্মৃতি সৌধ নির্মাণ না করায় অযত্ন আর অবহেলায় বাকি বধ্যভূমিগুলো পড়ে আছে।
লালমনিরহাটে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্নবাহী বধ্যভূমি ও গণকবরগুলো হলো- লালমনিরহাট সদর উপজেলার লালমনিরহাট রেলওয়ে ওভার ব্রীজের পশ্চিম পাড়ের বধ্যভূমি, লালমনিরহাট রেলওয়ে ডি.আর.এম অফিস সংলগ্ন গণকবর, লালমনিরহাট পৌরসভার খোঁচাবাড়ী বধ্যভূমি ও গণকবর (বর্তমান সুইপার কলোনী ও ঝাড়ুদার পট্টি সংলগ্ন), ফিসারী অফিসের পিছনের পুল সংলগ্ন বধ্যভূমি, বড়বাড়ী ইউনিয়নের আইরখামার বধ্যভূমি ও গণকবর এবং উত্তর শিবরাম বধ্যভূমি (ধন মামুদের বাড়ী এলাকা)।
আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের গন্ধমরুয়া গ্রামের খুশির ভিটা বধ্যভূমি (রংপুর কলেজের মেধাবী ছাত্র মোসলেম উদ্দিনকেসহ ৮/১০জনকে এখানে হত্যা করা হয়। শহীদ মোসলেম উদ্দিনের নামে রংপুর কলেজে একটি ছাত্রাবাস রয়েছে), সারপুকুর ইউনিয়নের মুশর দৈলজোর উত্তর কান্তেশ্বর পাড়া গ্রামে অবস্থিত রেলওয়ে লালপুর বধ্যভূমি এবং খারুভাজ জামে মসজিদ মাঠ বধ্যভূমি।
কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের ভাখারীর পুল বধ্যভূমি, মদাতী ইউনিয়নের মুশরত মদাতী বধ্য পুকুর।
হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বধ্যভূমি ও গণকবর, সিন্দুর্না ইউনিয়নের পূর্ব সিন্দুর্না নুনখাওয়ার কুড়া বধ্যভূমি এবং দক্ষিণ সিন্দুর্না কাছারীর মাঠ বধ্যভূমি।