শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা বিএনপির কর্মী সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বাবা-মাকে একটা বাড়ি করে দেওয়ার স্বপ্ন যেন চিরতরে হারিয়ে গেলো লালমনিরহাটের শহীদ শাহিনুর আলমের বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ
লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা

লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা

লালমনিরহাট জেলা শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকা এবং হাট ও বাজারগুলোতে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসেছেন স্থানীয় পিঠা ব্যবসায়ীরা।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে কয়েকটি পয়েন্টে ভ্যানের মধ্যে গ্যাসের চুলা, সিলিন্ডার ও পিঠা তৈরির উপকরণ নিয়ে দুপুরের পর পরই হাজির হোন মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা। রিক্সা চালক, দিন মজুর, ব্যবসায়ী, ছাত্র, শিক্ষক, ছোট বড় সব শ্রেণী পেশার মানুষ এ মৌসুমী পিঠা দোকানের ক্রেতা। এটি মূলত শীতের মৌসুমের ব্যবসা। এ ব্যবসা চলবে প্রায় ৫-৬ মাস ধরে। বিকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করেন তাঁরা। ব্যবসাটি মূলত হাট-বাজার ও শহরের জনবহুল এলাকাগুলোতে বেশি প্রভাব ফেলেছে।

 

শহরের মানুষ তুলনামূলকভাবে অতি ব্যস্ত সময় পার করেন। আর এ কারণেই পিঠা বানানোর সময় পান না তারা। তাই এ ভাসমান খন্ডকালীন দোকানগুলো থেকে খুব সহজেই শীতকালীন পিঠার স্বাদ নিতে পারেন তারা।

 

লালমনিরহাট জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মিশন মোড় গোল চত্বর, হামার বাড়ী বিএনপি’র অফিসে সামনে, বিডিআর গেট সংলগ্ন এলাকায়, সেনা মৈত্রী মার্কেটের সামনে, জেলা পরিষদ মার্কেটে সংলগ্ন এলাকায়সহ লালমনিরহাট জেলা সদরের হাট-বাজারগুলোতে একাধিক মোড় ও পাড়া-মহল্লার অলিতে-গলিতে দেখা মিলবে এ সব শীতের পিঠার দোকান।

 

ভ্রাম্যমাণ এ দোকানগুলোতে সুস্বাদু পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে ধনিয়াপাতা বাটা, শুঁটকি বাটা, কালোজিরা ও সর্ষে ভর্তাসহ নানা রকম উপকরণ মিলিয়ে চিতই পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, তেল পিঠা, ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, ডিম পিঠা, নারিকেল পিঠা। আরও পাওয়া যায় ডাল পুরি, হরেক রকমের সিঙ্গারা, পেয়াজি, ডিমের চপ ও মাংস চপসহ বিভিন্ন রকমের খাবার। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে পিঠা খেতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ এ পিঠার দোকানগুলোতে।

 

বিক্রেতারা বলেছেন, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, তেল পিঠাসহ নানান জাতের বিভিন্ন পিঠা বিক্রি করতেছে তারা। এর মধ্যে ভাপা, চিতই আর তেল পিঠার চাহিদা একটু বেশি।

 

তাঁরা আরও বলেন, বর্তমানে প্রতিদিনই প্রায় ৫হাজার থেকে ১৫হাজার টাকার পর্যন্ত শীতের পিঠা বিক্রি হচ্ছে।

 

শহরে পিঠার দোকানগুলোতে ১০টাকা থেকে শুরু করে ২০টাকার পর্যন্ত পিঠা রয়েছে। দোকানগুলোতে প্রতিদিন প্রায় ১-২ মণ আটার পিঠা তৈরি হয়।

 

লালমনিরহাট শহরের মিশন মোড় হামার বাড়ী বিএনপি অফিসে সামনে মোঃ কায়েস (৫৫) পিঠার দোকান নিয়ে বসেছেন। তিনি প্রতি বছর শীতের শুরু থেকেই পিঠা বিক্রি শুরু করেন। বর্তমানে তার পিঠা দোকানে কয়েকজন কর্মচারী রয়েছেন যাদের কেউ পিঠা বানানো আবার কেউ ক্রেতাদের পিঠা পরিবেশনের কাজে ব্যস্ত।

 

এখানে পিঠা খেতে আসা স্কুল শিক্ষক মজনু মিয়া (৩৯) বলেন, আমি এখন এ শহরেই থাকি। আমাদের গ্রামের বাড়িতে শীতের মৌসুমে আগে প্রায় সময় পিঠা বানানো হতো কিন্তু এখন সেই সময় আর নেই। এখন পিঠার স্বাদ পেতে হলে ফুটপাতেই আসতে হয়। তবে এখানে প্রায় সময় আসি আর পিঠার স্বাদ নিতে।

 

শহরের মিশন মোড় চত্বরের মোঃ সোলেমান শেখ (২৬) নামে এক পিঠা বিক্রেতা বলেন, আমরা মতো অনেকেই এ শীতের মৌসুমে পিঠা বিক্রিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। শীতের সময় মানুষ পিঠা খেতে বেশি ভালোবাসে আর দোকানগুলোতে বেচা-কেনাও বেশ ভালোই চলে। এ উপার্জনের টাকায় আমাদের সংসার চলে বেশ ভালোভাবেই। শীতের কিছু মৌসুম ব্যবসায়ী রয়েছেন যাদের ব্যবসা দিন দিন বড় হচ্ছে।

 

আকলিমা আক্তার রেনু (২৫) নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঝামেলা ছাড়াই স্বল্প দামে হাতের নাগালেই এখন পিঠা পেয়ে যাচ্ছি। তাই প্রায় সময় আমি ও আমার ফ্রেন্ডদের নিয়ে এখানে পিঠা খেতে আসি।

 

পরিবারের সবার জন্য পিঠা নিয়ে যাই। পড়াশুনা ও টিউশনির জন্য ব্যস্ত থাকতে হয় এ কারণে পিঠা তৈরি করার সময় পাইনা। তাইতো এ দোকানগুলোতে খেতে আসি।

 

শহরের বিডিআর গেট সংলগ্ন এলাকায় পরিবার নিয়ে পিঠার দোকানে আসা এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, চাকুরির সুবাদে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয় না তেমন। তাই শীতে মৌসুমে রাস্তার ধারে পিঠার দোকান দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। মূলত শীতের সময় আমরা একটু বেশিই ভোজন বিলাসী হয়ে থাকি। বিশেষ করে শীতের পিঠার প্রতি একটু বেশিই চাহিদা থাকে। এজন্যই পারিবারিক প্রয়োজনে এখানে এসেছি কিছু কেনাকাটা করতে সেই সঙ্গে শীতের পিঠার স্বাদ নিতে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone