শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে আগুনের কুন্ডলী জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা লালমনিরহাটে স্মৃতিচিহ্নহীন রেলওয়ে রিক্সা স্ট্যান্ড বধ্যভূমি! লালমনিরহাটে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের মোগলহাট সড়ক পুর্ণ নির্মাণ কাজে গতিহীন; সাধারণ মানুষের ভোগান্তি! মহান মুক্তিযুদ্ধে লালমনিরহাট প্রীতি ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে ইয়ং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট ২০২৪-২৫ বিভাগীয় পর্যায় এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্নবাহী বধ্যভূমি ও গণকবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লালমনিরহাট জেলার কমিটি গঠন লালমনিরহাটে যেন কোন কাজেই আসছে না স্লুইস গেইট!
আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা

আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা

লালমনিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় আলু চাষের জন্য উপযোগী ও উর্বর মাটি হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আলু আবাদে ফলন ভালো হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

 

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ডিসেম্বরের শেষে থেকে জানুয়ারির মাঝা মাঝি সময় নতুন আলু বাজারে আসবে।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, প্রতি বিঘায় ৮-১০ মণ বীজ লাগে আলু রোপণের জন্য। রোপণের ৫০-৬০ দিনের মধ্যে আলু পাওয়া যায় বিঘায় ৪৫ থেকে ৬০ মণ পর্যন্ত।

 

তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার কীটনাশকসহ বীজের দাম বেড়েছে। একই সাথে কৃষক শ্রমিকরা তাদের দিন মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছে । ফলে এবার আলুর উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এতে করে লাভ কম হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী বাজারের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী জাহিদ ফার্টিলাইজারে স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ জাহিদ হোসেন বলেন, প্রতি বছর ৩ থেকে ৫ একর জমিতে আলু চাষাবাদ করে থাকেন তিনি। প্রতি একর জমিতে আলু চাষাবাদ করতে ৬০০-৭০০ কেজি বীজ আলুর দরকার হয়। এক একর জমিতে আলু আবাদ করতে ১২০-১৫০ কেজি ইউরিয়া, ২০০ কেজি টিএসপি, ২৫০ কেজি এমওপি, ৪০ কেজি জিপসাম এবং ৫-৬ কেজি দস্তা সার প্রয়োজন হয়। তবে এ সারের পরিমাণ জমির অবস্থা ভেদে কমবেশি হতে পারে বলে জানান তিনি।

 

তিনি আরও বলেন, একর জমিতে ৪-৫ টন জৈব সার ব্যবহার করলে ফলন অনেক বেশি পাওয়া যায়। আলু উৎপাদনে আগাছা পরিষ্কার, সেচ, সারের উপরি প্রয়োগ, মাটি আলগাকরণ বা কান্দিতে মাটি তুলে দেওয়া, বালাই দমন, মালচিং করা আবশ্যকীয় কাজ।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে কৃষক আজিত হাসান বলেন, আগাম আলুর রোগ বালাই কম হয়। সেই সাথে বাজারে ভালো দামও পাওয়া যায়। আমি এ বছর ১বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি ভালো দামের আশায়।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার সোহায়েল আহমেদ বলেন, আলু চাষের জন্য আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় আগাম ধান কর্তনের পর কৃষকরা আলু চাষ আবাদ শুরু করেন। চলতি বছর লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ৩হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ২৮.৫ থেকে ২৯ টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।

 

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইখুল আরিফিন বলেন, জেলার প্রায় ৫০ ভাগ আলু উৎপাদন হয়ে থাকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা থেকে। এ জেলায় মাটি আলু চাষের উপযুক্ত। আলু চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিতে উপ-সহকারী কৃষি অফিসাররা মাঠে কাজ করছেন। চলতি বছরের এ জেলায় ৬হাজার ৫০০হেক্টর জমি আলুর চাষাবাদ করা হবে। এবার প্রতি হেক্ট জমিতে প্রায় ২৯টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।

 

উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার আলু চাষীরা ইতিপূর্বে আলু বীজ রোপণ করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone