শীতের প্রকোপে লালমনিরহাটের মানুষের এখন জুবুথুবু অবস্থা। গত কয়েক দিন ধরে মৌসুমের সর্বোচ্চ শীত পড়েছে লালমনিরহাটে। সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় সূর্যের আলোও ঢেকে থাকছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত থেকে বোরবার (১৭ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৮ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেননা।
তবে হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করেই খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে এসে জীবিকার সন্ধান করতে হচ্ছে। পল্লী এলাকা বিশেষ করে নদ-নদী তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ একটু বেশি। সেখানে মানুষের দুর্ভোগও অনেক বেশি।
মানুষের পাশাপাশি শীতে গবাদিপশুরও কষ্ট হচ্ছে।
অবস্থাপন্ন গৃহস্থরা তাদের গবাদিপশুর গায়ে মোটা কাপড় জড়িয়ে শীত নিবারনের ব্যবস্থা করতে পারলেও গরীব মানুষেরা সেটাও পারছেনা।
এদিকে শীত জনিত রোগব্যাধির প্রকোপ বেড়েছে। বেড়েছে ডায়রিয়া। বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি করে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন রোগে।
ঘনকুয়াশায় আলু ও সরিষা ফসলের ক্ষতির
আশংকা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়বে। চলতি মাসের শেষের দিকে ঠান্ডার প্রকোপ আরও তীব্র হবে।
লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপপরিচালক সমমান) ডাঃ মোঃ আব্দুল মোকাদ্দেম জানান, হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত শীতার্ত মানুষের পাশে সরকারি ও বেসরকারী ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়নি।