শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
পারিবারিক মাফিয়াকরণে চলছে লালমনিরহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজ ফুলকপি চাষে ব্যস্ত লালমনিরহাটের চাষিরা লালমনিরহাটে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে জলবায়ু জনিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ কর্ম পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান ৩ দিনের রিমান্ডে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে হবে-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লালমনিরহাটে চা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের লালমনিরহাটে সাড়ে ১১কেজি ওজনের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় কুখ্যাত মাদক সম্রাট নুর হাইসহ ৩জনের মৃত্যুদন্ড লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান গ্রেফতার
লালমনিরহাটে চা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

লালমনিরহাটে চা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

লালমনিরহাটে এখন চা চাষে প্রতিনিয়ত আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা। বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মত সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট জেলা চা শিল্পে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে কম পরিশ্রম ও বেশি লাভজনক হওয়ায় এখন চা চাষ করছেন লালমনিরহাট জেলার কৃষকরা।

 

জানা গেছে, বাংলাদেশ চা উন্নয়ন বোর্ড কৃষকদের প্রতি চা চারা নাম মাত্র ২টাকা দরে বিক্রি করছেন। এ জন্য লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামে চা উন্নয়ন বোর্ড গড়ে তুলেছে বিশাল চা চারার নার্সারী। সেই নার্সারী থেকে কৃষকদের চা চারা সরবরাহ করা হচ্ছে। তা ছাড়া চা উন্নয়ন বোর্ড কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। বর্তমানে চা চাষিরা প্রতি কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা ৩৪টাকা দরে কারখানায় বিক্রি করছেন। জেলায় ৭২.৮২ একর জমিতে চা বাগান গড়ে তুলেছেন ৫২জন কৃষক। আরও ২০জন কৃষক চা বাগান গড়ে তুলতে চা বোর্ডে চা চাষী হিসেবে নিবন্ধন করেছেন।

 

লালমনিরহাট জেলায় ৭২জন কৃষক চা চাষে এগিয়ে এসেছেন। এতে গত ২০১৮ সালে মাত্র ৬৩টন সবুজ কাঁচা চা পাতা উৎপাদন হলেও ২০১৯ সালে তা ৫গুন বাড়িয়ে ৩শত ১৫টন কাঁচা চা পাতা উৎপাদন হবে বলে বাংলাদেশ চা উন্নয়ন বোর্ড ধারণা করছেন। এ ছাড়া জেলায় নতুন করে আরও ২শত একর জমিতে চা বাগান তৈরী প্রক্রিয়া চলছে।

 

বাংলাদেশ চা উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে চায়ের চারা রোপন করতে মোট খরচ হয় ১০ থেকে ১১হাজার টাকা। লালমনিরহাট জেলায় ১বছরের মধ্যেই ওই চা গাছ থেকে চায়ের কাঁচা পাতা সংগ্রহ করা সম্ভব।

 

ফলে প্রতি বিঘায় প্রথম বছর ৪হাজার টাকা, দ্বিতীয় বছর ১৬হাজার টাকা, তৃতীয় বছর ৩৪হাজার টাকা, চতুর্থ বছর ৪৮হাজার টাকা ও পঞ্চম বছর ৬৮হাজার টাকার সবুজ কাঁচা চা পাতা বিক্রি করা সম্ভব। এক গাছে কম পক্ষে ৫০ থেকে ৫৫বছর ধরে চা পাতা উৎপাদন সম্ভব।

 

প্রতি বছর এক সাথে প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১১হাজার টাকা খরচের পর পরবর্তী প্রতি বছর আয়ের ২০শতাংশ পরিচর্যাসহ বিভিন্ন খাতে খরচ হবে। এতে হিসাব মিলে দেখা যায়, প্রথম বছর থেকে ৫৫বছর পর্যন্ত গড়ে প্রতি বিঘায় বছরে ৪০ থেকে ৪৫হাজার টাকার সবুজ কাঁচা চা পাতা বিক্রি সম্ভব।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone