শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে
আবারও বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার উপরে তিস্তা নদীর পানি

আবারও বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার উপরে তিস্তা নদীর পানি

আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লাগাতার বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার তিস্তা নদীর নিম্নাঞ্চলগুলো আবারও প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

 

আজ মঙ্গলবার ২১ জুলাই দুপুর ১২টায় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

সকাল ৬টায় বিপদসীমার ১৫সেন্টিমিটার উপর সকাল ৯টায় বিপদসীমার ১৮সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। অপরদিকে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৪সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও রত্নাই ও সানিয়াজানসহ প্রায় সকল নদ-নদীর পানি হু হু করে বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।

 

জানা যায়, তিস্তা ব্যারাজ রক্ষার্থে ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২দশমিক ৮০সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ২০সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২দশমিক ৬০সেন্টিমিটার) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

এক সপ্তাহ আগে তিস্তায় বন্যার পর তৃতীয় দফায় আবারও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছেন। তিস্তার চর এলাকার লোকজন আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

 

লাগাতার বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাড়ী ঢলের কারণে তিস্তায় দেখা দিয়েছে আবারও বন্যা। ৩০বছরের রেকর্ড ভেঙে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তখন প্রায় ১লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এবারও যে হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এ দফার বন্যায় নতুন করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, পানি নেমে যাওয়ার ৭দিন না পেরোতেই মঙ্গলবার সকাল থেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী অববাহিকার পরিবারগুলো ফের পানিবন্দি হয়ে পড়ছে।

 

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদেরর চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়িতে পানি উঠে গেছে।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র দোয়ানী ডালিয়া’র নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, উজানের ঢলের কারণে তিস্তা নদীর পানি সকাল থেকে বৃদ্ধি পাওয়ায় চর ও উপকূল এলাকার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone