লালমনিরহাটের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান-এঁর ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের চাকরির জন্য একব্যক্তির ৫৪শতক জমি লিখে নিয়েছেন বলে দাবি উঠেছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন মোঃ মোহাইমেনুল হাসান নামের ওই ব্যক্তি।
তিনি বলেন, আমি বিদ্যালয়টিতে ৭বছর শিক্ষকতা করেছি তবে এমপিওভুক্তির সময়ে আমাকে বাদ দেওয়া হয়। আমাকে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে এমপিওভুক্ত করার পর আমি শামসুজ্জামান আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করি। পড়ে চাকরি দিতে না পারায় জমিটি ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করি তাকে, তখন তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে অপমান করেন ও হুমকি দেন। সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ১৭, লালমনিরহাট-০২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তাঁর মায়ের নামে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের তুষভান্ডারে ২০১৫ সালে করিমপুর নুরজাহান শামসুন্নাহার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় হিসেবে এমপিওভুক্ত হওয়া বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুজ্জামানের ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ। প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের আওতায় পরিচালিত বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন শামসুজ্জামানের স্ত্রী জেসমিন আরা পলি।
ভুক্তভোগী মোহাইমেনুল হাসান আরও বলেন, আব্বার বয়স হয়েছে, উনি ওদের ক্ষমতার দাপটের কাছে অসহায়। আমি আব্বার অনুমতি নিয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এবং জেলা সমাজসেবা অফিসারসহ দুদকের প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। সেই সাথে আমি মিডিয়ার সহায়তা কামনা করছি। চাকরি হলো না আমার, তবে জমিটা ফেরত চাই।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা পলি বলেন, মোহাইমেনুল হাসান এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। তাঁর চাকরি কেন শেষ পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হয়নি, সেটা কর্তৃপক্ষ (ম্যানেজিং কমিটি) বলতে পারবেন। তাঁর স্বামী বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উল্লেখ করে বিস্তারিত জানতে চাইলে জেসমিন আরা কোনো জবাব দেননি।
শামসুজ্জামান আহমেদ সম্প্রতি রংপুরের একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেফতার হন। ফলে তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, অভিযোগটি গুরুতর। খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।