লালমনিরহাটে প্রচার-প্রচারণা ও সচেতনতার বড্ড অভাবে ক্ষতিকর তামাক চাষ থেকে নিরুৎসাহিত করা যাচ্ছে না তামাক চাষীদের। চাষীরা মনে করে কম খরচে তামাক চাষ লাভজনক। এ ফসল চাষে নিরুৎসাহিত করার তেমন কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেই লালমনিরহাট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের। অন্যান্য ফসলের চেয়ে কম খরচে বেশি ফসল ও ভালো দামের পাশাপাশি তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানীগুলোর নানামুখি প্রণোদনায় দিব্যি চলছে তামাক চাষ। এ জেলার প্রায় সব স্থানেই কমবেশী তামাকের চাষ হচ্ছে চোখে পড়ার মতো।
কৃষকেরা বলছেন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিধি-নিষেধ না থাকায় গ্রামের কৃষকেরা তামাক চাষ থেকে বিরত থাকছে না। পাশাপাশি সমসাময়িক গম ও ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে ক্ষতিকর এ ফসলের আবাদ অনেকটাই কমে যাবে।
তারা আরও বলছেন, তারা রেডিও টেলিভিশনে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর শুনেছে কিন্তু তামাক চাষ ক্ষতিকর তা শোনেনি। তামাক জাতীয় দ্রব্য ব্যবহারের ফলে ক্যান্সারসহ মারাত্মক মরণব্যাধি হলেও তামাক চাষ বন্ধে এ জেলায় তেমন কোনো প্রচার-প্রচারণা লক্ষ করা যায়নি।
উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার তামাক চাষীরা ইতিপূর্বেই বেডে তামাক বীজ বপন করেছে। যা বর্তমানে রোপণ উপযোগী হয়েছে।